Articles Archives - Amar Madrasah - আমার মাদরাসা https://amarmadrasah.com/category/blog/articles/ মাদরাসা শিক্ষার সর্বপ্রথম ও সর্ববৃহৎ অনলাইন ই-লার্নিং প্লাটফর্ম আমার-মাদরাসা.কম Mon, 14 Mar 2022 07:04:48 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7 https://amarmadrasah.com/wp-content/uploads/2022/03/cropped-ei_1646414966558-removebg-32x32.png Articles Archives - Amar Madrasah - আমার মাদরাসা https://amarmadrasah.com/category/blog/articles/ 32 32 203614153 মুক্তিযুদ্ধে আলেম সমাজ https://amarmadrasah.com/muktijuddhe-alem-somaj/ https://amarmadrasah.com/muktijuddhe-alem-somaj/#respond Sun, 13 Mar 2022 10:03:59 +0000 https://amarmadrasah.com/?p=9807 মহান স্বাধীনতার মাসে আমার মাদরাসার ক্ষুদ্র আয়োজন “মুক্তিযুদ্ধে আলেম সমাজ”। এর মাধ্যমে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা প্রদানকারী আলেমদের সম্পর্কে জানতে পারবো। আজকের পর্বের আলেম হলেন যথাক্রমে: ● মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ ● শাহ্‌ সূফি আল্লামা …

The post মুক্তিযুদ্ধে আলেম সমাজ appeared first on Amar Madrasah - আমার মাদরাসা.

]]>
মহান স্বাধীনতার মাসে আমার মাদরাসার ক্ষুদ্র আয়োজন “মুক্তিযুদ্ধে আলেম সমাজ”
এর মাধ্যমে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা প্রদানকারী আলেমদের সম্পর্কে জানতে পারবো।

আজকের পর্বের আলেম হলেন যথাক্রমে:

● মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ

● শাহ্‌ সূফি আল্লামা নুরুল ইসলাম হাশেমী (রাঃ)

মাওলানা আবুল হাসান যশোরী

মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন এছাড়াও ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষার অধিকার আদায়ে সংগ্রামরত ছাত্র জনতার উপর পুলিশী নির্যাতনের সংবাদ পেয়ে প্রাদেশিক পরিষদ থেকে বেরিয়ে এসে মহান ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দান করেন৷ তিনি মুক্তিযুদ্ধে ২৪৩ দিন আত্মগোপনে থেকে নেতৃত্ব দেন। তার পরামর্শে অসংখ্য মানুষ যুদ্ধে অংশ নেয়। পাকিস্তানী হানাদাররা তার বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেয়।

আল্লামা নুরুল ইসলাম হাশেমী (রাঃ) ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহনের পাশাপাশি মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ এর সান্নিধ্যে লাভ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে প্রভাবিত হন। বিশিষ্টজনেরা বলেন, আল্লামা হাশেমী স্বাধীনতার স্বপক্ষীয় একজন বড়মাপের আলেম হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। ইমামে আহলে সুন্নাত হিসেবে আমৃত্যু উনার বিশেষ পরিচয় ছিল। চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধারা তাঁকে বিশেষ সম্মানের চোখে দেখতেন।

তাঁর সম্পর্কে লেখক, গবেষক ও মুক্তিযোদ্ধা সিরু বাঙালি বলেন-

‘বাংলাদেশে তিনিই একমাত্র ইসলামি চিন্তাবিদ, যিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা, সোবহানিয়া আলিয়া মাদ্রাসা ও ওয়াজেদিয়া আলিয়া মাদ্রাসায় রাজাকার-আলবদরকে কমিটি গঠনে বাধা প্রধান করে সাফল্য লাভ করেছিলেন।’ (বাঙাল কেন যুদ্ধে গেল, ৪র্থ সংস্করণ, পৃ. ২৮৭)

মাওলানা আবুল হাসান যশোরী  এবং তার মাদরাসার ছাত্ররা মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন দিয়েছেন। তার মাদরাসার ছাত্ররা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। ১৯৭১ সালের ৮ এপ্রিল তার মাদরাসায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী হামলা করে। শহীদ হন ২১ জন। যাদের মধ্যে একজন সম্মানিত আলেম হাবীবুর রহমান, ৫ জন ছাত্র এবং বাকীরা ছিল ওখানে আশ্রয় নেয়া মুক্তিযোদ্ধা। মাদরাসা প্রাঙ্গনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবর রয়েছে। ওই হামলায় মাওলানা যাশোরী গুলিবিদ্ধ হন।

১৯৭১ এর দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামে আলেমসমাজ কেবল ফতোয়া ও সমর্থন দিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি পাশাপাশি যুদ্ধেলিপ্ত হয়েছেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মোকাবেলায়। হাজার হাজার আলেম নিজ নিজ এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে সংগঠিত করেছেন। বয়ান বিবৃতি দিয়ে উৎসাহ উদ্দীপনা দিয়েছেন যেমন; তেমনি সাহায্য-সহযোগিতাও করেছেন অকুণ্ঠমনে।

The post মুক্তিযুদ্ধে আলেম সমাজ appeared first on Amar Madrasah - আমার মাদরাসা.

]]>
https://amarmadrasah.com/muktijuddhe-alem-somaj/feed/ 0 9807
মসজিদে নববীর দাসী। https://amarmadrasah.com/mosjide-nababir-dashi/ Thu, 15 Apr 2021 22:02:00 +0000 http://educationwp.thimpress.com/demo-el-3/?p=4514 আরব গোত্রের এক দাসী রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে হাজির হলো। তার গায়ের রঙ ছিল কালো। উদ্দেশ্য কুফর ও শিরকের পথ ছেড়ে সত্যের পথে চলা। দ্বীন ইসলামের ছায়ায় নিজেকে সুরক্ষিত করা। আল্লাহ ও তার রাসূলের নৈকট্য লাভ করা। রাসূল …

The post মসজিদে নববীর দাসী। appeared first on Amar Madrasah - আমার মাদরাসা.

]]>
আরব গোত্রের এক দাসী রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে হাজির হলো। তার গায়ের রঙ ছিল কালো। উদ্দেশ্য কুফর ও শিরকের পথ ছেড়ে সত্যের পথে চলা। দ্বীন ইসলামের ছায়ায় নিজেকে সুরক্ষিত করা। আল্লাহ ও তার রাসূলের নৈকট্য লাভ করা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে মহিলাটি ইসলাম গ্রহণ করল।

আরজ করল, “ইয়া রাসূলুল্লাহ (দ:)! আমার থাকার কোনো জায়গা নেই। এখন আপনিই ভরসা।”

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাসীকে ফেলে দিলেন না। নিজ হাতে তার জন্য মসজিদে নববীতে একটা তাবু বানিয়ে দিলেন। সেখানেই দাসীটি বসবাস করতো। অবসর সময়ে আসতো মা আয়েশা রা: সঙ্গে গল্প করতে। হযরত মা আয়েশা রা: সঙ্গে যখনই দেখা হতো তখনই দাসীটি বলা শুরু করতো:


ويوم الوشاح من تحاليل ربنا * الا انه من بلدة الكفر انجاني-
“সেই হারের দিনটি আমার রবের আশ্চর্য ঘটনা বিশেষ৷ জেনে রাখুন সে ঘটনা আমায় দিয়েছে মুক্তি কুফরের শহর থেকে।”

মা আয়েশা রা: এই কথা শুনে বারবার অবাক হতেন। ভাবতেন এই মহিলা এভাবে বলছে কেন? একদিন জিজ্ঞেসই করে বসলেন, “কি ব্যাপার, তুমি আমার কাছে বসলেই এ কথাটি বলো কেন?”

দাসী তখন বর্ণনা করল তার অতীত ইতিহাস। দ্বীনের পথে ফিরে আসার গল্প। যে দ্বীন তাকে মুক্তি দিবে দুনিয়া এবং আখেরাতের আযাব থেকে।

সে ছিল কোন এক আরব গোত্রের দাসী। তার মালিক তাকে আযাদ করে দিয়েছিল। সে তার মালিকের সঙ্গেই থেকে গেল। মালিকের বাড়িতে একটি মেয়ে ছিল। মেয়েটি তার গলায় লাল চামড়ার ওপর মূল্যবান পাথর খচিত হার পরে বাইরে গেল। পথিমধ্যে দুর্ভাগ্যক্রমে সে হারটি অসতর্কতার বসে কোথাও পরে গিয়েছিল। একটা চিল সেই হারটিকে পড়ে থাকা গোস্তের টুকরো মনে করে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল।

এদিকে গোত্রের লোকেরা মহা ব্যস্ত হয়ে সেই হারটি খুঁজতে শুরু করল। অনেক খুজাখুঁজি করার পরেও শেষ পর্যন্ত হারটির সন্ধান পাওয়া গেল না। গোত্রে সবচেয়ে গরিব ছিল সেই মহিলাটিই। কাজেই দোষ এসে পড়ল সেই দাসীর ঘাড়েই। তাকে দোষী মনে করে গোত্রের লোকেরা তাকে তল্লাশি শুরু করল। ওরা সেই হারের সন্ধানে এতটাই উত্তেজিত ছিল যে ঐ মহিলার লজ্জাস্থানে পর্যন্ত তল্লাশী চালানো হলো।

দাসীটি কেঁদে ফেলল। চিৎকার করে বলতে লাগল, “আল্লাহর কসম! আমি চুরি করিনি।” তারা তার কথা বিশ্বাস করছিল না। সবাই ধরেই নিয়েছিল যে সেই চুরি করেছে। ঠিক এমন সময় হার নেওয়া সেই চিলটি ওড়ে যেতে যেতে ওই মহিলার বাড়ির সামনে হারটি ফেলে দিল। সকলের সামনেই হারটি এসে পড়ল। গোত্রের সবাই হতভাগ।

মহিলাটি তখন বলল, “তোমরা তো এর জন্যেই আমার উপর দোষ চাপিয়েছিলে। তোমরা আমার সম্পর্কে সন্দেহ করেছিলে অথচ আমি ছিলাম এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নির্দোষ। নিশ্চই আমার রব আমাকে এই পরিক্ষা থেকে উত্তীর্ন করেছেন। সত্য চিনিয়েছেন, মিথ্যার বিনাশ করেছেন।”

এরপরই মহিলাটি সব কিছু ত্যাগ করে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে হাজির হলো। এবং ঘোষণা করল,
“আল্লাহ ছাড়া কোনো প্রভু নেই, নিশ্চই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।”

তথ্যসূত্রঃ
বোখারী শরীফ: সালাত অধ্যায়, ২৯৮ নং পরিচ্ছেদ, হাদিস নং: ৪২৬।

লেখকঃ
গোলাম শফিউল আলম মাহিন
শিক্ষার্থী, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা, চট্টগ্রাম।

The post মসজিদে নববীর দাসী। appeared first on Amar Madrasah - আমার মাদরাসা.

]]>
4514