ছহি করে কোরআন শিখার আহ্বান ও পবিত্র কোরআন সুন্নাহর সতর্ক বাণী।
মুফতি আবু তাইয়্যিব মোহাম্মদ নূরউদ্দিন:
হযরত যাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে হাদিস বর্নিত হয়েছে, তিনি বলেছেন নবী করিম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইর্শাদ করেছেন: লা তাজ লিছু ইন্দা কুল্লি-আলিমিন ইল্লা আলিমিন্ ইয়াদউ কুম্ মিনাল খাম্ছি ইালাল্ খামছি, মিনাস্ সাক্কি ইলাল ইয়াকীন, ওয়া মিনাল কিবারি ইলাত তাওয়াদ্ব, ওয়া মিনাল আদাওয়াতি ইলান নাছিহাতি, ওয়া মিনার রিয়া-ই-ইলাল ইখ্াছি ওয়া মিনার রাগবাতি ইলাজ় জুহ্দি।
বাংলা অনুবাদঃ- তোমরা সকল আলিমের মজুলিশে বস্বেনা, তবে ঐ আলিমের মজলিশে বসূবে যিনি পাঁচ জিনিস থেকে (যাহা দুষনীয়) সরিয়ে (উত্তম) পাঁচটি জিনিসের দিকে ডাকেন (তাঁর সংস্পসে যাইয়া তাঁর মজলিসে বসিও) । ১। যিনি সন্দেহ যুক্ত বিষয় থেকে সরিয়ে দৃঢ় ইয়াক্বিণ বা দৃঢ় বিশ্বাসের দিকে ডাকেন ২। যিনি অহংকার থেকে সরিয়ে, বিনয় বা নম্ৰতা ভদ্রতার দিকে ডাকেন।
৩। শত্রুতা দুর করে,সৎ উপদেশের দিকে ডাকেন । ৪। রিয়া বা লোক দেখানোর ইবাদাত (যাহা জগন্য তম ছোট শির্ক গুনাহ্) থেকে সরিয়ে ইখলাছ বা নিখুঁত বন্দেগী যাহা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টীর জন্য করা হয় সেই ইলাছের দিকে ডাকেন। ৫। যে আলিম দুনিয়ার কোটি কোটি ধন সম্পদের লোভ থেকে দুরে সরিয়ে তারিকুত দুনিয়া অর্থাৎ পরকালের লাভের আশায় দুনিয়া ত্যাগের দিকে ডাকেন ।( কানযুলউম্মাল খন্ড ৯পৃ: ১৪৭ জামউল জাওয়মি লিস্সুয়ূতী, জামিউল আহাদিছ,তারীখুদ্, দিমাক লিবনি আসাকির)
প্রিয় কোরআন শিক্ষার্থী বৃন্দ! নূর নবীজির সতর্ক বানী লক্ষ্য করুন ৫টি শয়তানী ঘৃন্য খাছ্লত যে আলিমের নিকট আছে দেখা যায়, তার মজুলিসে এক কথায় তার ছোবত বা সংস্পর্শে যেতেই নবীজি নিষেধ করে দিয়েছেন। কারন অপর হাদিসে নবীপাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইর্শাদ করেছেনঃ- “আছ্ ছুহ্বাতু মুতাআছ্ছিরুন” অর্থ;- সংস্পর্শ আছর করে।
আল্লামা শেখ ছাদী(রাঃ) বলেছেন: “ছোবতে ছালেহ্ তোরা ছালেহ কুনদ” “ছোহ্ বাতে তালেহ্ তোরা তালেহ কুনদ”
অর্থ :- নেক মানুষের সংঘ তোমাকে নেক কার করে দিবে, আর দুষ্ট চরিত্রে মানুষের সংঘ তোমাকে দুষ্ট বানিয়ে ফেল্বে। বাংলা প্রবাদ:- সৎ সংঘে সর্গবাস আর অসৎ সংঘে সর্বনাশ। সংঘ গুনে লোহাজলে ভাসে! এসব আমরা সতর্ক ভাবে নবী ওলির সতর্ক বানী গুলোকে মেনে চলতেই হবে, নতুবা জীবনে কামিয়াবী আসবে না।
প্রথম দুষী, বিষয়টি হল সন্দেহ, যাকে আরবীতে শক বলা হয়েছে অর্থাৎ দৃঢ় বিশ্বাস ঐ আলিমের নেই। তিনি সকালে এক কথা বিকালে বলেন অন্য কথা । এ জাতীয় আলিমের নিকট ইলিম শিক্ষা তো দুরের বিষয় তার কাছে যাওয়াই নবীজি নিশেধ করেছেন। কারন হাদিস শরিফে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইর্শাদ করেছেন দুটো বস্তু মানুষকে ধংস করে দেয় ও দুটো হল, শক ও তমা।
শক অর্থ সন্দেহ, আর তমা অর্থ লোভ। সন্দেহ প্রবল মানুষ যারা তারা সন্দেহ করতে করতে শেষ পর্যন্ত তার নীজ অর্ধাঙ্গিনী স্ত্রীর উপর ও সন্দেহ করে বসে। তখন তার পারিবারিক দাম্পত্য জীবনে আগুন লেগে যায়, ইহ কালের শান্তি চলেযায়। কারন তখন ঐ লোক্টি পাগলের প্রলাফ বকতে বকতে নীজ সন্তান কে ও জারজ সন্তান মনে করে । আর লোভে পাপ পাপে মৃত্যু। হাজার হাজার কোটি টাকা লোভ করে কত লোক আমাদের চুখের সামনে ধংস হয়ে যাচ্ছে, যার ইয়ত্তা নেই!
দ্বীতিয় দুষনীয় খাছলতটি “কিবির” বা অহংকার। এটাও জগন্যতম করিরা গুনাহ শয়তানের খাছলত। নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইর্শাদ করেছেন যার মধ্যে শরিষার দানা পরিমান অহংকার থাক্বে সে কখনো জান্নাত প্রবেশ করতে পারবেনা (বুখারী শরীফ) আমি বড় আলীম, আর কেউ আলেম নয়, আমি বড় ধনী, আমি বড় সম্মানি সৈয়দ, পাঠান, শেখ, চৌধুরী, ইত্যাদি বংশের ফখর করা বড়ই জগন্যতম পাপ। এজাতীয় দুষী বস্তু যে আলিমের মধ্যে থাকে, তার কছে যেতে হাদিসে নিষেধ করা হয়েছে, কারন অহংকার পতনের মূল। কোন আল্লাহর ওলি কবি বলেছেন ফার্সী ভাষায়:
তাকাব্বর আজাজীলেরা খারে করূদ” বজীন্দানে লানত গিরিফ তারে করদ।”
শ্রেষ্ঠ বলে, অহংকার করে ছিল ইবলিছ শয়তান।
সেই জন্যই খোদার অভিশপ্ত লানতিতে গিরিপতার হল।
আজীবন অনন্ত কালের জন্য।
পবিত্র হাদিস শরিফে তৃতীয় যে বদ্ খাছলতটি থেকে সতর্ক করা হয়েছে তা হল আদাওয়াত্ বা দুশমনি পোষন করা। এটা মুমিনের খালত নয়।
হাদিস শরিফে নবীজি ইর্শদ করেছেন, সে হল পকৃত মোছলমান, যার জিহ্বা ও হাত থেকে অন্য মোছলামন নিরাপদ থাকে । অর্থাৎ মুখ দ্বারা ও হাত দ্বারা অন্য আরেক জন মোসলমান কে আঘাত করে না (বুখারী) যে আলিম অন্য মোছলমান কে জবান অথবা হাত দ্বারা আঘাত করে তার থেকে ইলিম শিক্ষা তো দূরে থাক তার পার্শে যেতেও হাদিসে নিশেধ করা হয়েছে, তাই এ বিষয় সতর্ক থাকতে হবে। চতুর্থ যে জগন্যতম একটি পাপের কথা নবীজি ইর্শাদ করেছেন সেটা”রিয়া” বা লোকদেখানো ইবাদত। মানুষ দেখে আমাকে পরহেজগার কামিলপীর, আল্লাহ ওয়ালা ওলি ইত্যাদি মনে করবে, এবং প্রশংসা করবে, মুরিদ ভক্ত বাড়বে, দাওয়াত হাদিয়া প্রচুর পাওয়া যাবে, এই জাতীয় নিয়তে যে কোন ইবাদত ছোট শিরক গুনাহ (নাউজুবিল্লাহ মিন যালিক) যে গুনাহের কোন ক্ষমা নেই।
রিয়া সম্পর্কে হাদিস শরীফে বর্নিত আছে হযরত উমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) থেকে হাদিস বর্ণিত তিনি একদিন মসজিদে নববীর দিকে বের হলেন । অতপর তিনি হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল (রাঃ) কে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র রওযা মুবারকের কাছে বসে কাঁদতে দেখলেন । হযরত উমর (রাঃ) বললেন হে মুয়ায আপনাকে কিসে কাদাচ্ছে? হযরত মুয়ায (রাঃ) বললেন; ইউকি সাইউন ছামিত মিন রাসুলিল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! ছামিতু রাসুলিল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইয়াক্কুলু ইন্না ইয়াছিরার রিয়াই শিরকুন ।অর্থ ; আমাকে একটা জিনিষ কাদাচ্ছে, যথা আমি রাসুলল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে সুনেছি যে নিশ্চয়ই সামান্য রিয়া ও শিরক । (সুনানু ইবনু মাযাহ হাদিস নং ৩৯৮৯,হাকিম তিরমিজি, মিসকাত পৃ:৪৫৫) । হযরত মাহমুদ ইবনু লুবীদ থেকে বর্নিত তিনি বলেন রাসলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইর্শাদ করেছেন ঃ- ইন্না আখওয়াফা মা আখাফু আলাইকুমু শিরকাল আছগারি, কালু ইয়া রাসুলাল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ওয়া মাশ শিরকুল আহগারু কালা আর্ রিয়াউ ।
অর্থ : আমি তোমাদের ব্যাপারে শিরূকে আগরের সর্বধিক আশংকা করি।
সাহাবীগন বললেন ইয়া রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
শিরকে আছগর কি? তিনি বললেন রিয়া বা লোক দেখানো ইবাদত বন্দেগী। (মুসনাদে আহমদ হাদিস নং ২৩১১৯. তাবরামী, জামিউল
আহাদীস্ বায়হাক্কী মুসনাদুস্ সাবাহ্ ) রিয়া, থেকে নিরাপদ সকল বন্দেগী আল্লাহর নিকট খুব পছন্দনীয় যদিও
আদৃনা বা একে বারে অল্প কিছু হয়। তাই আল্লাহর এক ওলি কবি বলেছেন :
এক জামানা ছুহবতে বা আউলিয়া,
বেহ্তর আজ ছদ ছালে তাআত্ বে রিয়া,,
অর্থাৎ:- রিয়া বিহীন এক শত বৎসর বন্দেগীর চেয়েও উত্তম একজন আল্লাহর ওলির সঙ্গে সামান্য সময় থাকা। ছুবহানাল্লাহ
হাদিস শরিফে বর্নিত আছে ঃ- আন আ, ইশাতা (রাঃ) কালাত কালা রাসুলুল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইউফদ্দিলু যিক রাল খাফিয়াল্লাজী লা তাছমা আহুল হাফাজাতা বি ছাবইনা দ্বিফান ।
অর্থ:- আম্মাজান হযরত আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেছেন :
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খফি যিকির কে (নীরবে অন্তরের যিকির ) যাহা কোন ফেরেস্তাগন ও শুনতে পান না । যিকরে জালি (মুখে উচ্চ স্বরে যিকির) এর উপরে সত্তর গুন শ্রেষ্ঠত্ব দিতেন।
(আবু ইয়ালা হাদিস নং ৪৭৩৮ আল মাত্বালিবুল আলিয়াহ্) অপর আরেক বর্ণনায় আছে উচ্চস্বরে যিকির বা জালি যিকির যাকে বলা
হয়। তার চাইতে খফি যিকির যাহা শুধু মাত্র ক্বালবে মনে মনে করা হয় সেই ক্বালবী যিকিরের ছোয়াব সত্তর গুন বেশী । কারন ঐ খানে রিয়া নামক জঘন্যতম শিরকের ভয় নাই।
রিয়া সম্পর্কে হাদিস শরীফে বর্নিত আছে হযরত উমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) থেকে হাদিস বর্ণিত তিনি একদিন মসজিদে নববীর দিকে বের হলেন । অতপর তিনি হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল (রাঃ) কে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র রওযা মুবারকের কাছে বসে কাঁদতে দেখলেন । হযরত উমর (রাঃ) বললেন হে মুয়ায আপনাকে কিসে কাদাচ্ছে? হযরত মুয়ায (রাঃ) বললেন; ইউকি সাইউন ছামিত মিন রাসুলিল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! ছামিতু রাসুলিল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইয়াক্কুলু ইন্না ইয়াছিরার রিয়াই শিরকুন ।অর্থ ; আমাকে একটা জিনিষ কাদাচ্ছে, যথা আমি রাসুলল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে সুনেছি যে নিশ্চয়ই সামান্য রিয়া ও শিরক । (সুনানু ইবনু মাযাহ হাদিস নং ৩৯৮৯,হাকিম তিরমিজি, মিসকাত পৃ:৪৫৫) । হযরত মাহমুদ ইবনু লুবীদ থেকে বর্নিত তিনি বলেন রাসলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইর্শাদ করেছেন ঃ- ইন্না আখওয়াফা মা আখাফু আলাইকুমু শিরকাল আছগারি, কালু ইয়া রাসুলাল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ওয়া মাশ শিরকুল আহগারু কালা আর্ রিয়াউ ।
অর্থ : আমি তোমাদের ব্যাপারে শিরূকে আগরের সর্বধিক আশংকা করি।
সাহাবীগন বললেন ইয়া রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
শিরকে আছগর কি? তিনি বললেন রিয়া বা লোক দেখানো ইবাদত বন্দেগী। (মুসনাদে আহমদ হাদিস নং ২৩১১৯. তাবরামী, জামিউল
আহাদীস্ বায়হাক্কী মুসনাদুস্ সাবাহ্ ) রিয়া, থেকে নিরাপদ সকল বন্দেগী আল্লাহর নিকট খুব পছন্দনীয় যদিও
আদৃনা বা একে বারে অল্প কিছু হয়। তাই আল্লাহর এক ওলি কবি বলেছেন :
এক জামানা ছুহবতে বা আউলিয়া,
বেহ্তর আজ ছদ ছালে তাআত্ বে রিয়া,,
অর্থাৎ:- রিয়া বিহীন এক শত বৎসর বন্দেগীর চেয়েও উত্তম একজন আল্লাহর ওলির সঙ্গে সামান্য সময় থাকা। ছুবহানাল্লাহ
হাদিস শরিফে বর্নিত আছে ঃ- আন আ, ইশাতা (রাঃ) কালাত কালা রাসুলুল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইউফদ্দিলু যিক রাল খাফিয়াল্লাজী লা তাছমা আহুল হাফাজাতা বি ছাবইনা দ্বিফান ।
অর্থ:- আম্মাজান হযরত আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেছেন :
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খফি যিকির কে (নীরবে অন্তরের যিকির ) যাহা কোন ফেরেস্তাগন ও শুনতে পান না । যিকরে জালি (মুখে উচ্চ স্বরে যিকির) এর উপরে সত্তর গুন শ্রেষ্ঠত্ব দিতেন।
(আবু ইয়ালা হাদিস নং ৪৭৩৮ আল মাত্বালিবুল আলিয়াহ্) অপর আরেক বর্ণনায় আছে উচ্চস্বরে যিকির বা জালি যিকির যাকে বলা
হয়। তার চাইতে খফি যিকির যাহা শুধু মাত্র ক্বালবে মনে মনে করা হয় সেই ক্বালবী যিকিরের ছোয়াব সত্তর গুন বেশী । (কারন ঐ খানে রিয়া নামক জঘন্যতম শিরকের ভয় নাই।
“রিয়া”কার, আলিম থেকে দুরে থাকতো হবে। সত্য কথা তিক্ত হলেও বলতে হয়, আজ কাল ডাক ঢুল বাজাইয়া নর্তন, কুর্দন, চিল্লা চিল্লী গাছে বাশে লাফালাফি, গাড়ীর বহর সাজাইয়া যিকিরের নামে ফ্যাসন বাজীর নিয়ত কি আল্লাহর জন্য? ২০/২৫ বৎসর বয়সী পাগড়ী দাড়ী ওয়ালা যুবকের মাজ কপালে এত বড় কাল দাগ কি করে হয় ?
তা চিন্তা করে কুল পাওয়া যায় না! সাধারণ মানুষ প্রশ্ন করলে জবাব ও পাওয়া যায় না ! কারন সাজদার আছর তো হল নামাজীর চেহারার রুশনী। পাক কালামে আল্লাহ্ পাক ইর্শাদ করেছেন ছী, মাহুম ফী উজুহি হিম মিন আছারিছ ছুজুদ।
অর্থ:- তাঁদের (নামাজীদের) চেহারার সিজদার আছর পরিলক্ষীত হইবে । তাফছীরের কিতাবে বর্ণিত হয়েছে ঐ আছর হল, নামাজী মুসলমানদের চেহারার উজ্জলতা । কাল দাগনয়। কাপালের মধ্যেখানে কয়লার মত কাল দাগ কোন নবী ও ওলির ছিল বলে কিতাবে বা ইতিহাসে পাওয়া যায় না। নফল বন্দেগী যিকির ফিকির নীরবে করাই ছাওয়াব বেশী এবং “রিয়া” হতে বেঁচে থাকা যায়। মুদ্দা কথা হল “রিয়া” কার আলিম থেকে দুরে থেকে ইখলাছ ওয়ালা নিখুত আলেম এর কাছে যেতে হবে । হাদিস শরিফে নিশিদ্ধ ৫ম দূষনীয় বস্তু হল লোভ। লোভী দুনীয়াদার আলিম থেকে দুরে থাকতে হবে, এবং তারিকুদ্ দুনিয়া আরিফে রব্বানী নায়বে নবী প্রকৃত হক্কানী আলিমের ছোহবতে যেতেহবে । এবং তার থেকে ইলমে দ্বীন কোরআন হাদিস শিখতে হবে হযরত আবু দরদা (রাঃ) থেকে হাদিস বর্ণিত আছে, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যারা দ্বীনী উদ্দেশ্য ব্যতিত ইলিম শিক্ষা করে আমল করার উদ্দেশ্য ব্যতিত ইলিম শিক্ষা করে আখেরাতের ইলিম দ্বারা দুনিয়ার ফায়দা হাছিল করে, মানুষকে দেখানুর জন্য ছাগলের চামড়া পরিধান করে (ছুফি বেশ ধারন করে মুটা কাপাড় পরে পীর বুজুর্গের বেশ ধরে) । তাদের ক্বালব (দিলবা অন্তর ) বাঘের মতই হিংশ্র ( নির্দয় পশুর মত রক্ত পিপাশু লোভী অন্তর) তাদের ভাষা মধুর চেয়েও মিষ্ট।
(মিষ্ট ভাষী কুকিল কণ্ঠী) তাদের কাল্ সমূহ ইলোয়ার নামক তিক্ত বৃক্ষের চাইতে তিক্ত । তারা আমার সাথে সাথেই প্রতারনা করে, এবং আমার সাথেই ঠাট্টা করে । আমি তাদেরকে এমন শাস্তি দিব যাহা কোন সহনশীলই সহ্য করতে পারবেনা। ( খতীবে বাগদাদী হাদিস নং ১০৬৩ এহ্ ইয়াউল উলুমুদ্দীন) উলামায়ে “ছু” ও উলামায়ে হক্ এর পার্থক্য করে উলামায়ে “ছু” নিকৃষ্ট আলেম যারা বদ আক্বিদা ও দুনীয়া লোভী ভন্ড পীর জাহিল মনুষ বেশদারী পেশাদার ফাসিক আলিম গুনাহে কবিরায় লিপ্ত আলিম, থেকে দুরে থাকা ঈমান রক্ষার জন্য সর্ব সাধারন মুমিন মুমিনাহ্ সকলের জন্য ফরজ বা অপরিহার্য্য। বিষেশ করে ইল্মে দ্বীনের তলবগার তালিবুল ইলিম যারা ইলিম তলব অস্থায় মরে গেলে শাহাদাতের দরজা লাভ করেন। যাদেরকে নূরের ফেরেস্তাগণ ডানা বিছিয়ে সম্মান দেন। যাঁরা গোরস্থানের ধারে দিয়ে হেটে চলে গেলে আযাবী মুর্দার আযাব চল্লিশ দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। (আল হাদিস) যারা বিশ্ব মুসলিম মিল্লাতের জন্য আগামী দিনের আশা আকাক্ষার দিশারী দ্বীনের মুজহিদীন, তাঁদেরকে আমি অধম সবিনয় আরজ করব আপনারা অবশ্যই উলামায়ে “ছু” নিকৃষ্ট আলেম থেকে দুরে
থাক্বেন । তাদেরকে শিরারুল খাল্ক বা সৃষ্টির সবচাইতে নিকৃষ্ট প্রানি হাদিসে বলা হয়েছে (মিশকাত বুখারী) আর উলামায়ে হক্, যারা তাদেরকে বলা হয়েছে “খিয়ারুল খালক”সৃষ্টির সব চাইতে উত্তম সৃষ্টি। এমনকি ফেরেস্তা থেকে ও উত্তম তাঁরা । পবিত্র কোরআন শরিফে আল্লাহ পাক তাদের তারিফ বা প্রশংসা করে বলেছেন:- “ইন্নামা ইয়াখ্শাল্লাহা মিন ইবাদিহিল উলামা ” অর্থ : আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে হতে আল্লাহকে সব চাইতে বেশি ভয় করেন উলামায়ে কিরামগন (আলকুরআন) যাদের চেহারা মুবারকের দিকে তাকালে ছোট ছগিরা গুনাহ ঝড়ে যায়। যাদেরকে দেখলে আল্লাহ পাকের কথা স্বরন হয়ে যায় তাঁরা কতবড় ভাগ্যবান নায়বে রাসুলগন। আমরা আশা করব আপনারা হবেন সেই মহান নায়বে নবী আলেম ও হাফিজ, ক্বারী, দ্বীন ইসলামের কান্ডারী! পথ ভ্রষ্ট আলেমরাই আজ বিশ্ব জুড়ে ইস্লামের অপব্যখ্যা করে ইসলামের নামে সন্ত্রাস, মানুষ খুন বোমাবাজি আত্বহত্যা যে সব কুকর্ম হালাল মনে করে করলে মুসলমান আর মুমিন থাকেনা বরং কাফের হয়ে যায়। নাউযুবিল্লাহ! ওসব কফুরী কে তারা জিহাদ নাম দিয়ে শান্তির ধর্মকে কলংকিত করতেছে, এবং বিশ্ব বাসী মুসলমান কে মহা বিপদে ফেলে দিয়েছে টুপি দাড়ী নবীজির কত প্রিয় সুন্নাত! কিন্তু হায় ইয়াহুদী নাছারা হিন্দু বৌদ্দ খৃষ্টান এমকি একদল মুসলমান নামধারী মুনাফেকরা ও টুপি পাগড়ী দাঁড়ী দেখলে, ঘৃনা ভরে তাকায় ? এপর্য্যায়ে আমাদেরকে কারো নিয়ে এল? এজন্য দ্বায়ী কারা? উত্তরে বলতেই হবে ঐ সৃষ্টির নিকৃষ্ট প্রাণী উলামায়ে “ছু” নামক নায়বে শয়তানের দল। পবিত্র কোরআন সুন্নাহ্ হক্কানী উলামায়ে কিরামের সুস্পষ্ট বর্ননা থাকা সত্তেও বিশ্ব জুড়ে দেখা যায় উলামায়ে “হু” বদ আকিদার, বাতিল ফেকার দৌরাত্ব ভয়াবহ বিশ্বের দ্বীতিয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ আমাদের প্রিয় মাতৃ ভূমি ৩৬০ ষাট আউলিয়ার পরশে ধন্য পূন্য ভূমি বাংলাদেশটাও ঐ নায়বে শয়তানদের জগন্যতম আস্তানায় পরিনত হয়ে গেছে। বদ আক্বিদায় বিশ্বাসী লা, মাজাহাবী ওয়াহাবী, তরিকা বিরোধী, ও কিছু সংখ্যক বেদাতী মুর্খ ভন্ড পীর যারা প্রকৃতই শিরক বেদতেলিপ্ত এবং কিছু সংখ্যক ক্ষমতা লোভী, অর্থলিপ্সু, মুনাফিক মার্কা বাতিল ফিরকার নাম ধারী আলেম রয়েছেন, যারা
মসজিদ মাদ্রাসা ওয়াজ মাফিল পত্ৰ পত্ৰীকা ও বিভিন্ন মিডিয়াতে ইলমে মা,রিফাত শিক্ষা তরিকত শিক্ষাকে শির্ক বিদাত ভ্রান্ত ফতোয়া বাজী ও ভ্রান্ত মন্তব্য করে সহজ সরল ধর্মপ্রাণ সুন্নী মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়োগ চালাচ্ছেন। এবং বাতিল আকিদা প্রচার করছেন। কিছু মুনাফিক মার্কা ভন্ড পীর, বংলাদেশে নীজেকে মুজাদ্দিদ মুজতাহিদ হিসাবে আতৃপ্রকশের ইবলিছী আকাংখায়, অসংখ্য জগৎ বরেণ্য ইমাম ও আউলিয়াদের বিরোধী ভ্রান্ত বাতিল আকিদ্বার বিরুদ্ধে নতুন নতুন ভ্রান্ত ফতোয়া বাজী করে, কোটি কোটি সাধারণ সুন্নী মুলমানকে বিভ্রান্ত এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ঈমাণী ঐক্য ধ্বংস করে দ্বীন ঈমানের সমূহ ক্ষতি করতেছেন। ওরা অবশ্যই পথ-ভ্রষ্ট উলামায়ে “ছু” বা নিকৃষ্ট আলেম হিসেব গণ্য। তাদের করুণ পরিণতি সম্পর্কে হাদিস শরীফের অসংখ্য বর্ণনা হতে দু এক খানা হাদিস পেশকরা হল। “আন উমরা (রা:) কাল ইন্না আওয়াফা মা আখাফা হাজিহিল উম্মাতিল মুনাফিকআলীমা, ক্বালু কায়ফা ইয়াকুনু মুনাফিকান্ আলিমান, কালা আলীমুল্ লিছান্ জাহিদুল ক্বাল্বি ওয়াল আমালি । হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেছেন, উম্মেতের
মধ্যে মুনাফিক আলীমের আমি সর্বাধিক ভয় করছি। জিজ্ঞাসা করা হল মুনাফিক আলীম হয় কি ভাবে? উত্তরে তিনি বলেন মুখের আলীম অর্থাৎ সেই আলীম যার ইলিম
আতৃসম্মান লাভের জন্য ও লোক দেখানুর উদ্দেশ্যে শুধু মুখে মুখেই প্রকাশ পায়। ক্বালব কিন্তু শুদ্ধ নয়, যার কালব বা অন্তর ইল্মে মারিফাত এবং আমল থেকে শুণ্য সেই মুনাফিক আলীম।” (কানযুল উম্মাল হাদিস নং ২৯৪৮০ ইয়াহ্ ইয়াউল উলসুদ্দীন) হযরত আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেছেন “ যে ব্যক্তির ইলিম বৃদ্ধি পায়, কিন্তু দুনিয়া বর্জণ বৃদ্ধি পায় না, সে ব্যক্তির জন্য আল্লাহ্ থেকে শুধু দুরত্বই বৃদ্ধি পায় (দায়লামী শরিফ হাদীস নং ৫৮৮৭ কানযুল উম্মাল)।
হযরত জুনদুব (রা:) হতে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন : মাছালুল্লাজিনা ইয়ালামুন্নাছাল খাইরা ওয়া ইয়ান্ছো ইউহাররিকু
নাফ্ছাহু।”
অর্থ : যে আলীম মানুষকে ভাল কাজ শিখায় কল্যাণ শিখায়, কিন্তু নিজে আমল করেনা, আত্বভোলা হয়ে থাকে আমল করেনা। তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে ঐ বাতির ন্যায় যা লোকদেরকে আলোকিত করে, কিন্তু নীজেকে জ্বালিয়ে দেয় । (তাবরাণী ফিল কবির হাদিস নং ১৬৮১ )
অপর আরেক হাদিস শরিফে হযরত আবু হুরায়রায় (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ
করেছেন :
আশাদ্দুন্নানাছি আযাবান ইয়াওমাল কিয়ামাতি লাম্ইয়ান্ফাআহু
ইলমুহু।”
অথ: হাশরের দিন সব চেয়ে কঠিন আযাব হবে আলিমের, যার ইলিম তার নীজের উপকার করেনি ( অর্থাৎ: তার ইলিম অনুযায়ী সে আমল করেনি )
(তাবরানী হাদিস নং ৫৭)
ছাইয়্যিদুনা আব্দুল্লাহ ইবনে আমর থেকে বর্ণিথ আছে তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি “ইয়া কুলু ইন্নাল্লাহা লা ইয়াকাবিঘ্নল ইল্মা ইন্তিজা আন্ ইয়াতা জিউহু মিনাল ইবাদি ওয়ালাকিন্ ইয়াকুবিদুল ইল্মা বিকাবদিল্ উলামাই। হাত্ত্বা ইজা লাম ইয়াক্কি আলিমান্ ইত্ত্বা খাজানাছু রুউছান্ জুহ্হালান্ ফাছুইলু ফাতু বিগাইরি ইমিন ফাদ্বাদু ওয়া আদ্বাল্গু। অর্থ : নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়াল বান্দাদের থেকে হঠাৎ করে ইলিম উঠিয়ে নিবেন না বরং তিনি আলিমদেরকে উঠিয়ে নেয়ার মাধ্যমে ইল্মকে উঠিয়ে নিবেন। এমনকি যখন কোন আলিমকে অবশিষ্ট রাখবেন না,
(অর্থাৎ বিজ্ঞ হক্কানী আলেম সমাজে থাক্বেনা) তখন লোকেরা মূর্খদেরকে পীর মুর্শিদ হিসাবে গ্রহণ করবে। অতঃপর ঐ মূর্খনেতা অজ্ঞপীর, ও ভণ্ড আলিম্া নীজে না জেনেই ভূল সমাধান দিয়ে দিবে। ফলে তারা নীজেরা পথভ্রষ্ট হবে, এবং তাদের অন্ধ ভক্ত অনসারীদেরকেও পথভ্রষ্ট করে ফেলবে। (বুখারী শরিফ)
বর্তমানে বাংলাদেশে পীরের ছেলে মূর্খ জাহিল হলেও কোন সমস্যা নেই তিনি গদিনিশীন পীর? এজেন জমিদারীর উত্তরাধিকারী জমিদারের ছেলে। জমিদার তো হবেই, মূর্খ সান্ডা গুন্ডা হলে ও কোন আপত্তি নেই। আবার পীর, মুরিদের সম্পর্ক হলো বাবা ও সন্তানের মত? মুরিদের যুবতী মেয়েরা হলো, পীর সাহেবের নাতনী, ওরা পীর বাবাজানের খেদমত, যত প্রকারই আছে তা, ই করতে পারে? এতে কোন আপত্ত্বি নাই।(নাউজুবিল্লাহ্ মিন্ জালিক) ওসব ভন্ডামি হারম কার্যকলাপ আহরণ চলছে। হযরত ইবনু আব্বাস (রা:) হতে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন” এই উম্মতের আলেমগন দুই শ্রেণীর। এক শ্রেণীর আলেম হচ্ছেন তিনি, যাকে আল্লাহ তায়ালা ইল্ম দান করেছেন, তিনি উহা লোকদের কাছে বিতরণ করেন, তিনি এর জন্য কোন বিনিময় মূল্য বা পার্থিব কেন দাবী মিটান না। এই জাতীয় আলিমের জন্য সমুদ্রের মৎসকুল, পৃথিবীর স্থল ভাগের যাবতীয় চতুস্পদ জন্তু জানোয়ার গুলো শুন্যের মাঝে ( অর্থাৎ আকাশে ) উরন্ত পাখীরা ও ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকে। এই জাতীয় আলিম যিনি তিনি কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে নেতা ও বুজুর্গ ব্যক্তি হিসাবে আগমন করবেন, এবং তিনি রাসুলগণের সঙ্গী হয়ে যাবেন। (সুবাহানাল্লাহ্!) আরেক শ্রেনীর আলিম হচ্ছে সেই ব্যক্তি, যাকে আল্লাহ তায়ালা ইল্ম দান করেছেন, সে উহা নিয়ে বান্দাদের নিকট কার্পন্য করেছে ( বিনিময়ে ও চড়া মূল্য ছাড়া শিখায়নি, ওয়াজ নছিহত টাকা পয়সার বিনিময়ে, চুক্তি করে করেছে, নীজে উহা গোপন করেছে, এবং ইল্মের বিনিময়ে পার্থিব মূল্য গ্রহণ করেছে। সেই ব্যক্তিকেই কিয়ামতের দিন জাহান্নামের লাগাম পরিয়ে দেয়া হবে। এজন্য একজন ঘোষক ঘোণনা দিবেন :“এ হচ্ছে এমন ব্যক্তি যাকে আল্লাহ তায়ালা ইল্ম দান করেছেন। ফলে সে এই ইলম নিয়ে আল্লাহর বান্দাদের থেকে কার্পন্য করেছে (বিনিময় ছাড়া শিখায়নি) নীজে আকাংখার বস্তু গ্রহণ করেছে, এবং ইলিমের বিনিময়ে দুনিয়ার পার্থিব মূল্য ( চুক্তি করে গ্রহন করেছে)। হাশরের সকল মানুষের হিসাব শেষ করা পর্যন্ত এভাবেই ঘোষণা দিতে থাকবেন। (তাবরানী ফিল আত্তসাত হাদিস নং ৭১৮৭
দয়ালমী শরিফ জামিউল হাদীস ও কানযুলউম্মাল)
হযরত আবু হুরায়রা (রা:) থেকে হাদিস বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন: অর্থ: যে ব্যক্তি আলিম গণের সাথে প্রতিযোগিতা করার জন্য, এবং
নিবোর্ধদের সাথে তর্ক করার জন্য, ও মানুষের দৃষ্টি তার েিক আকর্ষণ করার জন্য, দ্বীনি ইলূম শিক্ষা করে, আল্লাহ তায়লা তাকে জাহান্নামে প্রবে শ করাবেন। (ইবনু মাজাহ শরিফ হাদিস নং ২৬০ হাকীম বায়হাকী।) প্রিয় পাক-কুরাআনের তালেবুল ইল্মগণ! বিশুদ্ধ আক্বিদায় বিশ্বাসী আহলে সুন্নাতে বিশ্বাসী, ছহি আমলদার, হাক্কানী নায়বে রাসূল গণের হুহূবত ব্যতিত পাক কালামের নূরানী ইল্ল্ম অর্জন হয় না। সেজন্যই জগৎ বরেন্য ইমাম মুস্তাহিদ গণ, ও আউলিয়া কিরামগণ তাঁদের উস্তাদদের দরবারে যুগ যুগ ধরে, বছরের পর বছর, জীবনের মূল্যবান সময় ব্যয় করে দিয়ে সেই ইলূমে কিরাত, ইলূমে শরিয়ত ও তরিকতের ইজাজত লাভ করেছেন। নবীগণকে চল্লিশ বৎসর বয়স না হওয়া পর্যন্ত স্বয়ং আল্লাহ দ্বীন প্রচারের অনুমতি দেননি। বর্তমানে ভূয়া সনদদারী ক্বারী, ভূয়া ভন্ড ছাবাল পীরে বাংলাদেশ ছয়লাব!
ইলমে দ্বীন (শরিয়ত, তরিকৃত, হাকিকত মা’রিফাত) অর্জনে আপন পীর উস্তাদৃগণের ছুতে দীর্ঘদিন সাধনা করেছেন, বিশ্ব বরেণ্য ইমাম মুজতাহিদ, জগৎ বরেন্য আউলিয়া কয়জনের নাম ও তাঁদের পীর,
উস্তাগণের নাম ও তাঁদের সাধনার বৎসর নিম্নে পেশ করা হলো। (দ্বীন ইলূমের খিলাফত আর সনদ এত সস্তা নয়) (১) বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত হাসান বছরী (রা:) তাঁর উস্থাদ ও মুর্শিদ সাইয়্যূদুনা হযরত আলী (রা:) এর নিকট একাধারে সাত বৎসর সাধনা করেছেন।
(২) ইমামে আজম হযরত আবু হানিফা (র:) তাঁর পীর ও উস্তাদ সাইয়্যিদুনা ইমাম যাফর সাদিক (র:) এর নিকট পূর্ণ দুই বৎসর সাধনা করে বলেছেন: লাওলাছ ছানা তানে লাহালাক্বান নুমান।” অর্থ: যদি দুটি বছর আমার ইমাম যাফর সাদিকের সঙ্গ লাভ না হত, তা হলে নোমান ধ্বংস হয়ে যেত। (অর্থাৎ আমি আবু হানিফা ধ্বংস হয়ে যেতাম)
(৩) হযরত ইমাম শাফেয়ী (র:) দীর্ঘদিন তাঁর পীর ও উস্থাদ আল্লামা ওয়াকী (র:) এর খেদমতে কাটিয়ে ছিলেন।
(৪) ইমাম আহমাদ ইব্ হাম্বল (র:) তাঁর পীর ও উস্তাদ হযরত বিশর
হাফী (র:) এর খেদমতে সুদীর্ঘ ১৮ বৎসর সাধানায় ছিলেন। (৫) খাজায়ে খাজেগান হযরত সুলতানুলহিন্দু খাজা গরীবে নেওয়াজ আজমিরী ছানজরী (রা:) এর পীর মুর্শিদ, হযরত খাজা উসমান হারুনী
(রা:) এর খেদমতে দীর্ঘ ২০ বৎসর সাধনায় ছিলেন।
(৬) গাউছুল আযম হযরত বড়পীর আঃ কাদের জিলানী (রা:) তাঁর পীর মুর্শিদ হযরত আল্লামা আবু সাঈদ আল মাখজুমী (রা:) এর খেদমতে দীর্ঘ ১৮ বৎসর কাটিয়ে দেন সাধনায়।
(৮) সুফী সম্রাট আল্লামা জালালাদ্দীন রুমী (রা:) তাঁর উস্তাদ আল্লামা শাম্ছ তাবরেজীর (র:) এর দরাবারে ৩০ বছর অতিবাহিত করেছিলেন
সাধনায়।
(৯) মুজাদ্দিদে আল্ফে ছানী (র:) তাঁর পীর উস্তাদ খাজা বাকী বিল্লাহ্
(র:) এর নিকটে ৩ বছর সাধনা করেন।
(১০) হযরত খাজা বাহউদ্দিন নক্শবন্দী (র:) তার পীর ও উস্তাদ আল্লামা খাজা আমীর কুলাল (র:) এর নিকট সাধনায় একাদারে ৬ বছর কাটান।
(১১) রইছুল মুফাচ্ছিরীন আল্লামা ইমাম ফখ্রুদ্দীন রাজী (র:) তাঁর পীর উস্তাদ আল্লামা ইমাম নাজমুদ্দীন কুরার (র:) এর নিকটে দু বছর কাটান এবং বলেছেন যা, শিখেছি সবই আমার উস্তাদের নিকট লাভ করেছি।
দ্বীন ও ঈমানের তলবগার কুরআন শিক্ষার্থীগন! আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেছেন। ওয়াল্লাজীনা যাহাদু ফীনা লানাহ্ দিয়ানাহুম ছুবুলানা”। অর্থ- যাঁরা আমাকে লাভ করার জন্য জ্ঞান সাধনা করে আমি তাঁদেরকে আমার পথ দেখিয়ে দেই।
উপরের লিখাটি “ছহি করে কোরআন শিখার আহ্বান ও পবিত্র কোরআন সুন্নাহর সতর্ক বাণী” বইয়ের অংশবিশেষ। সম্পুর্ন বইটি পড়তে পিডিএফ ডাউনলোড করুন নিচে দেয়া ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে:
ছহি-করে-কোরআন-শিখার-আহ্বান-ও-পবিত্র-কোরআন-সুন্নাহর-সতর্ক-বাণী। Download