Article Archives - Amar Madrasah - আমার মাদরাসা https://amarmadrasah.com/tag/article/ মাদরাসা শিক্ষার সর্বপ্রথম ও সর্ববৃহৎ অনলাইন ই-লার্নিং প্লাটফর্ম আমার-মাদরাসা.কম Fri, 01 Apr 2022 21:16:57 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7 https://amarmadrasah.com/wp-content/uploads/2022/03/cropped-ei_1646414966558-removebg-32x32.png Article Archives - Amar Madrasah - আমার মাদরাসা https://amarmadrasah.com/tag/article/ 32 32 203614153 কন্টস্টান্টিনোপল থেকে ইস্তাম্বুল। এক সোনালী অধ্যায়ের সূচনা দিবস। https://amarmadrasah.com/istanbul-victory/ Sat, 29 May 2021 04:00:00 +0000 http://educationwp.thimpress.com/demo-el-3/?p=4516 আজ ঐতিহাসিক ইস্তাম্বুল বিজয় দিবস। কন্টস্টান্টিনোপল থেকে ইস্তাম্বুল। এক সোনালী অধ্যায়ের সূচনা দিবস। সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতেহ যার হাত ধরে স্বপ্নের এই বিজয় অর্জিত হয়েছিল। আজ সেই দিন। আজ ২৯ শে মে… ইস্তাম্বুলের ৫৬৭ তম বিজয় বার্ষিকী।  আজও তুরস্কের অনেক …

The post কন্টস্টান্টিনোপল থেকে ইস্তাম্বুল। এক সোনালী অধ্যায়ের সূচনা দিবস। appeared first on Amar Madrasah - আমার মাদরাসা.

]]>
আজ ঐতিহাসিক ইস্তাম্বুল বিজয় দিবস। কন্টস্টান্টিনোপল থেকে ইস্তাম্বুল। এক সোনালী অধ্যায়ের সূচনা দিবস। সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতেহ যার হাত ধরে স্বপ্নের এই বিজয় অর্জিত হয়েছিল। আজ সেই দিন।

আজ ২৯ শে মে… ইস্তাম্বুলের ৫৬৭ তম বিজয় বার্ষিকী। 

আজও তুরস্কের অনেক পিতামাতা তাদের আদরের সন্তানের নাম ‘মুহাম্মাদ ফাতেহ’ রেখে থাকেন।কেননা এ নামটি ইসলামী ইতিহাসের একটি গৌরবময় অধ্যায়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।উসমানী খিলাফতের সপ্তম খলীফা সুলতান মুহাম্মাদ ফাতেহ (রহ) ছিলেন একজন মুজাহিদ সুলতান ,যাঁর মাধ্যমে নবী করিম (সাঃ) এর এর একটি ভবিষ্যতবাণী সত্য হয়েছে।হযরত বিশর বিন সুহাইম(রাঃ) থেকে সে ভবিষ্যত বাণীটি বর্ণিত হয়েছে-
لتفتحن القسطنطنية فلنعم الأمير أميرها ولنعم الجيش ذلك الجيش
“নিশ্চয়ই তোমরা কন্সট্যান্টিপোল বিজয় করবে।তার আমীর উত্তম আমীর হবে এবং সেই বাহিনী উৎকৃষ্টতম সেনাবাহিনী হবে।”(মুসনাদে আহমদ ৪/৩৩৫, হাদীস : ১৮৯৫৭; মুসতাদরাকে হাকেম ৫/৬০৩, হাদীস : ৮৩৪৯; মুজামে কাবীর, তাবারানী, হাদীস : ১২১৬)

মাত্র ২৪ বছর বয়সে তিনি বাইজেন্টাইন সম্রাজ্যের রাজধানী কন্সট্যান্টিপোল জয় করেন।

১৬ই মুহরম ৮৫৫ হিজরী মোতাবেক ১৮ ফেব্রুয়ারী ১৪৪৫ খৃস্টাব্দে সুলতান মুহাম্মাদ ফাতেহ (রহ) উসমানী খিলাফতের দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেন।তখন তার বয়স ছিল মাত্র ২২ বছর,কিন্তু অসম সাহস,অতুলনীয় প্রজ্ঞা, নিপুণ রণকৌশল ও গভীর ঈমানী জযবায় অল্প সময়েই তিনি তাঁর পূর্বসূরীদের ছাড়িয়ে যান।

তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর তিনি খিলাফত পরিচালনা করেন।তাঁর শাসনামলে যেমন ইসলামের বিজয়াভিজানে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছিল তেমনি সকল শ্রেণীর ও ধর্মের মানুষ ন্যায়বিচার, জান-মালের নিরাপত্তা এবং ধর্মীয় ও মানবিক অধিকার লাভ করেছিল।প্রকৃতপক্ষে এটা ছিল ইসলামী শাসনব্যবস্থার সুফল।
সুলতান মুহাম্মাদ ফাতেহ(রহ) এর শাসনামল বিভিন্ন দিক থেকে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত।তবে যা তাঁকে উম্মাহর হৃদয়ে অমর করে রেখেছে তা হলো কন্সট্যান্টিপোল বিজয়।

সুলতান মেহমেদ বা মুহাম্মাদ ফাতেহ। Image Source: Wikipedia.

ধর্মীয়,রাজনৈতিক ও ভৌগলিক দিক থেকে কন্সট্যান্টিপোল ছিল পৃথিবীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর।খৃস্টীয় তৃতীয় শতক থেকেই তা ছিল বাইজেন্টাইন সম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ নগরী।কন্সট্যান্টিপোল নগরীর তিন দিকে জল, একদিকে স্থল।পশ্চিমে বসফরাস প্রণালী,দক্ষিণে গোল্ডেন হর্ণ ও উত্তরে মারমারা উপসাগর।তাই ভৌগলিক দিক অবস্থানের কারণে একে তখন বিশ্বের সুরক্ষিত নগরীগুলোর মধ্যে গণ্য করা হত।এছাড়া নগরীর প্রতিরক্ষাব্যাবস্থাও ছিল অতুন্ত শক্তিশালী। গোটা নগরীর চারপাশে ছিল একাধিক দুর্ভেদ্য প্রাচীর ও সার্বক্ষণিক সশস্ত্র প্রহরা।এসব কারণে কন্সট্যান্টিপোল ছিল সে বিচারে এক অজেয় দুর্গ।এখানে মনে রাখতে হবে যে, সে যুগটা মিসাইল ও যুদ্ধবিমানের যুগ ছল না। তাই উপরোক্ত ব্যবস্থাগুলোই তখন নগরীর সুরক্ষার জন্য যথেষ্ট ছিল।

কন্সট্যান্টিপোল যুদ্ধ। Image source: dailysabah.com

কন্সট্যান্টিপোল জয়ের জন্য সুলতান মুহাম্মাদ ফাতেহ(রহ) তৎকালীন বিশ্বের সর্বাধুনিক রণপ্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলেন। সে সময়ের সবচেয়ে দূর পাল্লার কামান তিনিই তৈরি করেছিলেন।

সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতির যুদ্ধাবস্থায় এই গুরুত্বপূর্ণ কৌশল ছাড়াও উনার কিছু বিশেষ গুণ ছিলো। উনার জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রতি খুব ঝোঁক ছিল। তিনি জাহাজ ও কামানের নতুন নতুন ডিজাইন করতেন। তাঁর নকশা করা কামান আধুনিক হাউতজার এর পূর্বসূরি। তিনি তখন এক হাঙ্গেরি নকশাকার সহায়তায় এক জগৎ বিখ্যাত কামান তৈরী করেছিলেন, নাম ভেসিলিকা। ১৯ টন ওজনের এই কামান ১ মাইল দূর থেকে গোলা নিক্ষেপ করে দূর্গের দেয়াল ৬ ফুট পর্যন্ত ভেঙে ফেলতে পারত। এর ব্যারেলের দৈর্ঘ্য ছিল ১৯ ফুট আর গোলার ওজন ছিল ৬০০ পাউন্ড এর মত। কনস্টান্টিনোপল বিজয়ে এই কামানের ভূমিকা ছিল অপরিসীম।

প্রস্তুস্তি সমাপ্ত করার পর তিনি অভিযান আরম্ভ করেন।তার স্থল বাহিনী নগরীর পূর্ব দিকে অবস্থান নিল এবং নৌবাহিনীর জাহাজগুলো বসফরাস প্রণালীতে ছড়িয়ে পড়ল।কিন্তু বসফরাস প্রণালী থেকে ‘গোল্ডেন হর্ণে’ প্রবেশ করা তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না।কেননা গোল্ডেন হর্নের মুখ শিকল দ্বারা বন্ধ করা দেওয়া হয়েছিল এবং বাইজেন্টাইন রণতরীগুলো সেখানে অবস্থান নিয়ে গোলা নিক্ষেপ করছিল।

প্রচন্ড যুদ্ধের পরও উসমানী নৌবহর গোল্ডেন হর্ন পদানত করতে সক্ষম হল না।অন্যদিকে বন্দর সুরক্ষিত থাকায় বাইজেন্টাইন বাহিনী তাদের সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিল পূর্বদিকে,সুলতানের স্থল বাহিনীকে মোকাবেলা করার জন্য।তাই তাদের শক্তিকে বিভক্ত করার জন্য এবং দুই দিক থেকে একযোগে আক্রমণ করার জন্য উসমানী নৌবহরের গোল্ডেন হর্নে প্রবেশ করা ছিল অপরিহার্য। প্রায় দুই সপ্তাহ অবিরাম যুদ্ধের পরও নৌপথে বিজয়ের কোন লক্ষণ দেখা গেল না।অবশেষে সুওলতান মুহাম্মাদ ফতেহ এমন এক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, যা পৃথিবীর যুদ্ধের ইতিহাসে একমাত্র বিরল ও বিস্ময়কর হয়ে আছে।পাশ্চাত্যের কট্টর ঐতিহাসিকরা পর্যন্ত এ ব্যাপারে বিস্ময় প্রকাশ না করে পারেনি। গিবনের মত ঐতিহাহিকও একে ‘মিরাকল’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

সুলতান ফাতেহ (রহ),মুজাহিদদের আদেশ দিলেন রণতরীগুলো ডাঙ্গায় তুলে দশ মাইল পথ অতিক্রম করে গোল্ডেন হর্নে নামাতে হবে, এই দীর্ঘ পথ পুরোটাই ছিল পাহাড়ী উঁচুনিচু ভূমি। এর উপর দিয়ে সত্তরটি রণতরী টেনে নেয়া ছিল এককথায় অসম্ভব।কিন্তু সুলতান ফাতেহ এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন।

পুরো পথে কাঠের পাঠাতন বিছানো জল, তাতে চর্বি মাখিয়ে পিচ্ছিল করা হল এবং এর উপর দিয়ে রণতরীগুলো টেনে নিয়ে যাওয়া হল।এভাবে টিলা ও পাহাড়ের উপর দিয়ে রাতের মধ্যে সত্তরটি রণতরী তিনি গোল্ডেন হর্ণে প্রবেশ করাতে সক্ষম হলেন।

এই স্থান দিয়ে জাহাজ টেনে নেয়া হয়। Image Source: Wikipedia.

সত্তরটি জাহাজের এই মিছিল সারারাত্রি মশালের আলোতে ভ্রমণ করেত থাকে। বাইজেণ্টাইন সৈন্যরা কন্সট্যান্টিপোলের প্রাচীর থেকে বসফরাসের পশ্চিম তীরে মশালের দৌড়াদৌড়ি লক্ষ্য করে।কিন্তু অন্ধকারের কারণে কিছুই বুঝে উঠতে পারেনি।অবশেষে ভোরের অয়ালো যখন রহস্যের পর্দা উন্মোচন করে দেয়,ততক্ষণে মুহাম্মাদ ফাতেহের সত্তরটি রণতরী ও ভারী তোপখানা গোল্ডেন হর্নের উপরাংশে পৌঁছে গেছে। গোল্ডেন হর্নের মুখে প্রহরারত বাইজেন্টাইন নৌ সেনারা বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে দেখল যে, উছমানী রণতরীগুলো মৃত্যুদূতের মতো তাদের পিছন দিক থেকে ধেয়ে আসছে। এই ঘটনা ত্থেকে একটি প্রবাদ তৈরি হলঃ”যখন পানির জাহাজ ডাঙ্গায় চলবে তখন বুঝবে কন্সট্যান্টিপোলের পতন অত্যাসন্ন।”

চূড়ান্ত আক্রমণের আগে সুওলতান মুহাম্মাস ফাতেহ(রহ) বাইজেন্টাইন সম্রাট কন্সট্যান্টিনকে নগরী সমর্পণের পয়গাম পাঠালেন এবং নগরবাসীর জানমালের পূর্ণ নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিলেন, কিন্তু সম্রাট তা গ্রহণ করলেন না।এবার সুলতান চূড়ান্ত আক্রমণের প্রস্তুতি নিলেন।

ঐতিহাহিকগণ লেখেন,আক্রমণের আগে সুলতান ফাতেহ(রহ) বাহিনীর অধিনায়কদের তলব করে সকল মুজাহিদিকে এই পয়গাম পৌঁছে দেওয়ার আদেশ করলেন যে,কন্সট্যান্টিপোলের বিজয় সম্পন্ন হলে রাসূলুল্লাহ(সাঃ)-এর একটি ভবিষ্যত বাণী সত্য হবে এবং তাঁর একটি মুজিজা প্রকাশিত হবে। অতএব কারো মাধ্যমে যেন শরীয়াতের কোন বিধান লঙ্গিত না হয়।গীর্জা ও উপসানালয়গুলোর যেন অসম্মান না করা হয়,পাদ্রী,মহিলা,শিশু এবং অক্ষম লোকদের যেন কোন ধরনের কষ্ট না দেওয়া হয়…।।’

৮৫৭ হিজরীর ২০ জুমাদাল উলার রজনী মুজাহিদগণ দুয়া ও ইবাদাতের মধ্যে অতিবাহিত করেন। ফজরের নামাজের পর সুলতান চূড়ান্ত আক্রমণের আদেশ দিলেন এবং ঘোষণা করলেন যে ,”ইনশাআল্লাহ আমরা যোহরের নামাজ সেন্ট সুফিয়ার গীর্জায় আদায় করব।”

দ্বিপ্রহর পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে ভীষণ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলতে থাকে।কিন্তু বাইজেন্টান বাহিনী অসাধারণ বীরত্বে একটি সৈন্যও শহরে প্রবেশ করতে পারেনি। অবশেষে সুওলতান তার বিশেষ বাহিনী ইয়ানাচারী বাহিনীকে সাথে করে সেন্ট রোমান্স এর ফটকএর দিকে অগ্রসর হন। ইয়ানাচারী বাহিনীর প্রধান আগা হাসান তার ত্রিশ জন বীর সঙ্গীকে সাথে করে প্রাচীরের উপর আরোহণ করেন।হাসান ও তার আঠার সাথীকে প্রাচীর থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়। তারা শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করেন।অবশিষ্ট বারোজন প্রাচীরের উপর দৃঢ় অবস্থান করতে সক্ষম হন।তারপর উসমানী বাহিনীর অন্যান্য দলও একের পর এক প্রাচীরে আরোহণ করতে সক্ষম হন। এমনিভাবে কন্সট্যান্টিপোলের প্রাচীরে চন্দ্রখচিত লাল পতাকা উড়িয়ে দেয়া হয়।

বাইজেন্টাইন সম্রাট কন্সট্যান্টিন এতক্ষণ বীরত্বের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছিল।কিন্তু সে তার কিছু অসাধারণ বীর যোদ্ধার সাহস হারানোর পর নিরাশ হয়ে পড়ে।সে উচ্চস্বরে বলে-“এমন কোন খৃস্টান নেই কি, যে আমাকে খুন করবে।”
কিন্তু তার আহ্বানে সাড়া না পেয়ে সে রোম সম্রাট(কায়সারদের) বিশেষ পোশাক খুলে দূরে নিক্ষেপ করে,উসমানী সেনাবাহিনীর উন্মত্ত তরঙ্গের মধ্যে প্রবেশ করে সত্যিকার সৈনিকের মত বীরত্বের সাথে লড়তে লড়তে নিহত হয়।তার মৃত্যতে ১১০০ বছরের বাইজেন্টানের সেই রোম সম্রাজ্যের বিলুপ্তি ঘটে ,যার সূচনা হয়েছিল প্রথম কন্সট্যান্টিনের হাতে এবং বিলুপ্তও হল আরেক কন্সট্যান্টিনের হাতে । তারপর থেকে কায়সায় উপাধিই ইতিহাসের উপখ্যানে পরিণত হয়ে যায়। এভাবে ইহ-পরকালের সর্দার মহানবী(সাঃ) এর এই বাণী সত্যে প্রমাণিত হয়-“কায়সারের ধ্বংসের পর আর কোন কায়সার জন্ম নিবে না।”

আল্লাহ তাআলা তাঁর মুজাহিদ বান্দার কথাকে সত্য করেছেন।জোহরের সময় সুলতান মুহাম্মাদ ফাতেহ(রহ) বিজয়ীর বেশে কন্সট্যান্টিপোল নগরীতে প্রবেশ করেন। ইংরেজী তারিখ হিসাবে দিনটি ছিল ২৯ মে ১৪৫৩ ঈ.।সেন্ট রোমান্সের উপর(বর্তমান নাম TOP KOPY) উসমানী পতাকা উড়ছিল। সুলতান ঘোড়ার পিঠ থেকে নেমে সিদজায় পড়ে গেলেন।

৫৩ দিনের টানা অবরোধ শেষে ১৪৫৩ সালের আজকের এই দিনে (২৯ মে) অটোম্যান সুলতান মেহমেত-২ ফাতিহ কনস্টান্টিনোপল বিজয় করেন এবং নতুন নাম দেন ইস্তাম্বুল!

মহানবী (সাঃ) ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ,”নিশ্চয় তোমরা একদিন কুসতুনতিনিয়া (কনস্টান্টিনোপল) জয় করবে। সেই বিজয়ী শাসক কতই না উত্তম হবে এবং তার সৈন্যরাও কতই না উত্তম হবে!”(মুসনাদে আহমদ)।

হযরত আমীর মোয়াবিয়া (রাঃ) সর্বপ্রথম কনস্টান্টিনোপল জয়ের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এরপর মোট ২৩ বার চেষ্টা করেছেন পরের অনেক শাসক। কিন্তু কনস্টান্টিনোপলের তিন লেয়ারের সুরক্ষা প্রাচীর ভেদ করা সম্ভব হয়নি।

অবশেষে, অটোম্যান সুলতান মেহমেত-২ ফাতিহ মাত্র ২১ বছর বয়েসে এই অসাধ্য সাধন করেন! তার সাফল্যের পেছনে ছবিতে দেখানো এই রণকৌশলের গুরুত্ব অপরিসীম! লাল চিহ্নিত পথে জঙ্গল কেটে পথ বানিয়ে আস্ত যুদ্ধ জাহাজ রাতের আধারে টেনে বাইজান্টাইনদের জলসীমায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আর তাতেই যুদ্ধের গতিপথ পাল্টে যায় আর অটোম্যান বিজয় সুগম হয়েছিল!

মেহমেত-২ ফাতিহর এই ম্যানুভারটি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাটেল ম্যানুভারের একটি!

নগরীর অধিকাংশ খৃস্টান সেন্ট সোফিয়ায় আশ্র্য় নিয়েছিল।সুলতান তাদেরকে অভয় দিলেন এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তা দান করলেন।
এরপর আযান দেওয়া হল।সাড়ে এগারো শত বছর যাবৎ যেখানে ‘তিন খোদা’র উপাসনা হচ্ছিল সেখানে আজ তাওহীদের ধ্বনি উচ্চারিত হল।সকল ছবি ও মূর্তি সরিয়ে ফেলা হল।মুসলিম বাহিনী জোহরের নামাজ সেন্ট সোফিয়ায় আদায় করল।

সুলতান ফাতেহ(রহ) একে মসজিদে পরিণত করার ফরমান জারি করলেন। কেননা প্রথমত কন্সট্যান্টিপোলের সম্রাট আত্মসমর্পণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল তাই সুলতান এই গীর্জাকে পূর্বাবস্থায় বহাল রাখতে বাধ্য ছিল না। তদুপরি এটি ছিল অর্থডক্স খ্রিস্টানদের কেন্দ্রীয় গীর্জা ।তাই এর সাথে বহু কুসংস্কার ও অলৌকিকতার বিশ্বাস জড়িত হয়েছিল। এই কুসংস্কারের মূলোৎপাটন প্রয়োজন ছিল।

কন্সট্যান্টিপোল বিজয়ের পর সুলতান মুহাম্মাদ ফাতেহ(রহ) নগরীর খৃস্টন অধিবাসীদের জান-মালের নিরাপত্তা বিধান করলেন এবং তাদেরকে তাদের পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রদান করেন।

কন্সট্যান্টিপোল বিজয়ের এই ঘটনার পর কন্সট্যান্টিপোল যা বর্তমানে ইস্তাম্বুল নামে পরিচিত উসমানী খিলাফতের রাজধানীর রূপ লাভ করে এবং বহু শতাব্দী পর্যন্ত আলমে ইসলামীর মধ্যে তার বিশেষ গুরুত্ব ছিল।

তথ্যসূত্র-
১) জাহানে দিদাহ- শাইখুল ইসলাম আল্লামা তাকী উসমানী (দা বা)
২) Encyclopedia of Islam
৩) wikipedia
৪) ইসলামের ইতিহাস
৫) Encyclopedia of World History
৬) History of Decline & Fall of Roman Empire and History of Christianity- Edward Gibbon
৭)মাসিক আল-কাউসার
৮) লিখা: মাহবুবুর রহমান।
৯) দেলোয়ার হোসেন খান – Defres

The post কন্টস্টান্টিনোপল থেকে ইস্তাম্বুল। এক সোনালী অধ্যায়ের সূচনা দিবস। appeared first on Amar Madrasah - আমার মাদরাসা.

]]>
4516
মসজিদে নববীর দাসী। https://amarmadrasah.com/mosjide-nababir-dashi/ Thu, 15 Apr 2021 22:02:00 +0000 http://educationwp.thimpress.com/demo-el-3/?p=4514 আরব গোত্রের এক দাসী রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে হাজির হলো। তার গায়ের রঙ ছিল কালো। উদ্দেশ্য কুফর ও শিরকের পথ ছেড়ে সত্যের পথে চলা। দ্বীন ইসলামের ছায়ায় নিজেকে সুরক্ষিত করা। আল্লাহ ও তার রাসূলের নৈকট্য লাভ করা। রাসূল …

The post মসজিদে নববীর দাসী। appeared first on Amar Madrasah - আমার মাদরাসা.

]]>
আরব গোত্রের এক দাসী রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে হাজির হলো। তার গায়ের রঙ ছিল কালো। উদ্দেশ্য কুফর ও শিরকের পথ ছেড়ে সত্যের পথে চলা। দ্বীন ইসলামের ছায়ায় নিজেকে সুরক্ষিত করা। আল্লাহ ও তার রাসূলের নৈকট্য লাভ করা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে মহিলাটি ইসলাম গ্রহণ করল।

আরজ করল, “ইয়া রাসূলুল্লাহ (দ:)! আমার থাকার কোনো জায়গা নেই। এখন আপনিই ভরসা।”

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাসীকে ফেলে দিলেন না। নিজ হাতে তার জন্য মসজিদে নববীতে একটা তাবু বানিয়ে দিলেন। সেখানেই দাসীটি বসবাস করতো। অবসর সময়ে আসতো মা আয়েশা রা: সঙ্গে গল্প করতে। হযরত মা আয়েশা রা: সঙ্গে যখনই দেখা হতো তখনই দাসীটি বলা শুরু করতো:


ويوم الوشاح من تحاليل ربنا * الا انه من بلدة الكفر انجاني-
“সেই হারের দিনটি আমার রবের আশ্চর্য ঘটনা বিশেষ৷ জেনে রাখুন সে ঘটনা আমায় দিয়েছে মুক্তি কুফরের শহর থেকে।”

মা আয়েশা রা: এই কথা শুনে বারবার অবাক হতেন। ভাবতেন এই মহিলা এভাবে বলছে কেন? একদিন জিজ্ঞেসই করে বসলেন, “কি ব্যাপার, তুমি আমার কাছে বসলেই এ কথাটি বলো কেন?”

দাসী তখন বর্ণনা করল তার অতীত ইতিহাস। দ্বীনের পথে ফিরে আসার গল্প। যে দ্বীন তাকে মুক্তি দিবে দুনিয়া এবং আখেরাতের আযাব থেকে।

সে ছিল কোন এক আরব গোত্রের দাসী। তার মালিক তাকে আযাদ করে দিয়েছিল। সে তার মালিকের সঙ্গেই থেকে গেল। মালিকের বাড়িতে একটি মেয়ে ছিল। মেয়েটি তার গলায় লাল চামড়ার ওপর মূল্যবান পাথর খচিত হার পরে বাইরে গেল। পথিমধ্যে দুর্ভাগ্যক্রমে সে হারটি অসতর্কতার বসে কোথাও পরে গিয়েছিল। একটা চিল সেই হারটিকে পড়ে থাকা গোস্তের টুকরো মনে করে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল।

এদিকে গোত্রের লোকেরা মহা ব্যস্ত হয়ে সেই হারটি খুঁজতে শুরু করল। অনেক খুজাখুঁজি করার পরেও শেষ পর্যন্ত হারটির সন্ধান পাওয়া গেল না। গোত্রে সবচেয়ে গরিব ছিল সেই মহিলাটিই। কাজেই দোষ এসে পড়ল সেই দাসীর ঘাড়েই। তাকে দোষী মনে করে গোত্রের লোকেরা তাকে তল্লাশি শুরু করল। ওরা সেই হারের সন্ধানে এতটাই উত্তেজিত ছিল যে ঐ মহিলার লজ্জাস্থানে পর্যন্ত তল্লাশী চালানো হলো।

দাসীটি কেঁদে ফেলল। চিৎকার করে বলতে লাগল, “আল্লাহর কসম! আমি চুরি করিনি।” তারা তার কথা বিশ্বাস করছিল না। সবাই ধরেই নিয়েছিল যে সেই চুরি করেছে। ঠিক এমন সময় হার নেওয়া সেই চিলটি ওড়ে যেতে যেতে ওই মহিলার বাড়ির সামনে হারটি ফেলে দিল। সকলের সামনেই হারটি এসে পড়ল। গোত্রের সবাই হতভাগ।

মহিলাটি তখন বলল, “তোমরা তো এর জন্যেই আমার উপর দোষ চাপিয়েছিলে। তোমরা আমার সম্পর্কে সন্দেহ করেছিলে অথচ আমি ছিলাম এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নির্দোষ। নিশ্চই আমার রব আমাকে এই পরিক্ষা থেকে উত্তীর্ন করেছেন। সত্য চিনিয়েছেন, মিথ্যার বিনাশ করেছেন।”

এরপরই মহিলাটি সব কিছু ত্যাগ করে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে হাজির হলো। এবং ঘোষণা করল,
“আল্লাহ ছাড়া কোনো প্রভু নেই, নিশ্চই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।”

তথ্যসূত্রঃ
বোখারী শরীফ: সালাত অধ্যায়, ২৯৮ নং পরিচ্ছেদ, হাদিস নং: ৪২৬।

লেখকঃ
গোলাম শফিউল আলম মাহিন
শিক্ষার্থী, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা, চট্টগ্রাম।

The post মসজিদে নববীর দাসী। appeared first on Amar Madrasah - আমার মাদরাসা.

]]>
4514
ছহি করে কোরআন শিখার আহ্বান ও পবিত্র কোরআন সুন্নাহর সতর্ক বাণী। https://amarmadrasah.com/quran-shikkhar-ahoban/ https://amarmadrasah.com/quran-shikkhar-ahoban/#respond Tue, 06 Mar 2018 22:04:00 +0000 http://educationwp.thimpress.com/demo-el-3/?p=4513 মুফতি আবু তাইয়্যিব মোহাম্মদ নূরউদ্দিন: হযরত যাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে হাদিস বর্নিত হয়েছে, তিনি বলেছেন নবী করিম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইর্শাদ করেছেন: লা তাজ লিছু ইন্দা কুল্লি-আলিমিন ইল্লা আলিমিন্ ইয়াদউ কুম্ মিনাল খাম্‌ছি ইালাল্ খামছি, মিনাস্ সাক্কি ইলাল …

The post ছহি করে কোরআন শিখার আহ্বান ও পবিত্র কোরআন সুন্নাহর সতর্ক বাণী। appeared first on Amar Madrasah - আমার মাদরাসা.

]]>
মুফতি আবু তাইয়্যিব মোহাম্মদ নূরউদ্দিন:

হযরত যাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে হাদিস বর্নিত হয়েছে, তিনি বলেছেন নবী করিম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইর্শাদ করেছেন: লা তাজ লিছু ইন্দা কুল্লি-আলিমিন ইল্লা আলিমিন্ ইয়াদউ কুম্ মিনাল খাম্‌ছি ইালাল্ খামছি, মিনাস্ সাক্কি ইলাল ইয়াকীন, ওয়া মিনাল কিবারি ইলাত তাওয়াদ্ব, ওয়া মিনাল আদাওয়াতি ইলান নাছিহাতি, ওয়া মিনার রিয়া-ই-ইলাল ইখ্াছি ওয়া মিনার রাগবাতি ইলাজ় জুহ্‌দি।

বাংলা অনুবাদঃ- তোমরা সকল আলিমের মজুলিশে বস্বেনা, তবে ঐ আলিমের মজলিশে বসূবে যিনি পাঁচ জিনিস থেকে (যাহা দুষনীয়) সরিয়ে (উত্তম) পাঁচটি জিনিসের দিকে ডাকেন (তাঁর সংস্পসে যাইয়া তাঁর মজলিসে বসিও) । ১। যিনি সন্দেহ যুক্ত বিষয় থেকে সরিয়ে দৃঢ় ইয়াক্বিণ বা দৃঢ় বিশ্বাসের দিকে ডাকেন ২। যিনি অহংকার থেকে সরিয়ে, বিনয় বা নম্ৰতা ভদ্রতার দিকে ডাকেন।

৩। শত্রুতা দুর করে,সৎ উপদেশের দিকে ডাকেন । ৪। রিয়া বা লোক দেখানোর ইবাদাত (যাহা জগন্য তম ছোট শির্ক গুনাহ্) থেকে সরিয়ে ইখলাছ বা নিখুঁত বন্দেগী যাহা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টীর জন্য করা হয় সেই ইলাছের দিকে ডাকেন। ৫। যে আলিম দুনিয়ার কোটি কোটি ধন সম্পদের লোভ থেকে দুরে সরিয়ে তারিকুত দুনিয়া অর্থাৎ পরকালের লাভের আশায় দুনিয়া ত্যাগের দিকে ডাকেন ।( কানযুলউম্মাল খন্ড ৯পৃ: ১৪৭ জামউল জাওয়মি লিস্সুয়ূতী, জামিউল আহাদিছ,তারীখুদ্, দিমাক লিবনি আসাকির)

প্রিয় কোরআন শিক্ষার্থী বৃন্দ! নূর নবীজির সতর্ক বানী লক্ষ্য করুন ৫টি শয়তানী ঘৃন্য খাছ্‌লত যে আলিমের নিকট আছে দেখা যায়, তার মজুলিসে এক কথায় তার ছোবত বা সংস্পর্শে যেতেই নবীজি নিষেধ করে দিয়েছেন। কারন অপর হাদিসে নবীপাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইর্শাদ করেছেনঃ- “আছ্ ছুহ্বাতু মুতাআছ্ছিরুন” অর্থ;- সংস্পর্শ আছর করে।
আল্লামা শেখ ছাদী(রাঃ) বলেছেন: “ছোবতে ছালেহ্ তোরা ছালেহ কুনদ” “ছোহ্ বাতে তালেহ্ তোরা তালেহ কুনদ”

অর্থ :- নেক মানুষের সংঘ তোমাকে নেক কার করে দিবে, আর দুষ্ট চরিত্রে মানুষের সংঘ তোমাকে দুষ্ট বানিয়ে ফেল্‌বে। বাংলা প্রবাদ:- সৎ সংঘে সর্গবাস আর অসৎ সংঘে সর্বনাশ। সংঘ গুনে লোহাজলে ভাসে! এসব আমরা সতর্ক ভাবে নবী ওলির সতর্ক বানী গুলোকে মেনে চলতেই হবে, নতুবা জীবনে কামিয়াবী আসবে না।

প্রথম দুষী, বিষয়টি হল সন্দেহ, যাকে আরবীতে শক বলা হয়েছে অর্থাৎ দৃঢ় বিশ্বাস ঐ আলিমের নেই। তিনি সকালে এক কথা বিকালে বলেন অন্য কথা । এ জাতীয় আলিমের নিকট ইলিম শিক্ষা তো দুরের বিষয় তার কাছে যাওয়াই নবীজি নিশেধ করেছেন। কারন হাদিস শরিফে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইর্শাদ করেছেন দুটো বস্তু মানুষকে ধংস করে দেয় ও দুটো হল, শক ও তমা।

শক অর্থ সন্দেহ, আর তমা অর্থ লোভ। সন্দেহ প্রবল মানুষ যারা তারা সন্দেহ করতে করতে শেষ পর্যন্ত তার নীজ অর্ধাঙ্গিনী স্ত্রীর উপর ও সন্দেহ করে বসে। তখন তার পারিবারিক দাম্পত্য জীবনে আগুন লেগে যায়, ইহ কালের শান্তি চলেযায়। কারন তখন ঐ লোক্‌টি পাগলের প্রলাফ বকতে বকতে নীজ সন্তান কে ও জারজ সন্তান মনে করে । আর লোভে পাপ পাপে মৃত্যু। হাজার হাজার কোটি টাকা লোভ করে কত লোক আমাদের চুখের সামনে ধংস হয়ে যাচ্ছে, যার ইয়ত্তা নেই!

দ্বীতিয় দুষনীয় খাছলতটি “কিবির” বা অহংকার। এটাও জগন্যতম করিরা গুনাহ শয়তানের খাছলত। নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইর্শাদ করেছেন যার মধ্যে শরিষার দানা পরিমান অহংকার থাক্‌বে সে কখনো জান্নাত প্রবেশ করতে পারবেনা (বুখারী শরীফ) আমি বড় আলীম, আর কেউ আলেম নয়, আমি বড় ধনী, আমি বড় সম্মানি সৈয়দ, পাঠান, শেখ, চৌধুরী, ইত্যাদি বংশের ফখর করা বড়ই জগন্যতম পাপ। এজাতীয় দুষী বস্তু যে আলিমের মধ্যে থাকে, তার কছে যেতে হাদিসে নিষেধ করা হয়েছে, কারন অহংকার পতনের মূল। কোন আল্লাহর ওলি কবি বলেছেন ফার্সী ভাষায়:

তাকাব্বর আজাজীলেরা খারে করূদ” বজীন্দানে লানত গিরিফ তারে করদ।”

শ্রেষ্ঠ বলে, অহংকার করে ছিল ইবলিছ শয়তান।
সেই জন্যই খোদার অভিশপ্ত লানতিতে গিরিপতার হল।

আজীবন অনন্ত কালের জন্য।

পবিত্র হাদিস শরিফে তৃতীয় যে বদ্ খাছলতটি থেকে সতর্ক করা হয়েছে তা হল আদাওয়াত্ বা দুশমনি পোষন করা। এটা মুমিনের খালত নয়।

হাদিস শরিফে নবীজি ইর্শদ করেছেন, সে হল পকৃত মোছলমান, যার জিহ্বা ও হাত থেকে অন্য মোছলামন নিরাপদ থাকে । অর্থাৎ মুখ দ্বারা ও হাত দ্বারা অন্য আরেক জন মোসলমান কে আঘাত করে না (বুখারী) যে আলিম অন্য মোছলমান কে জবান অথবা হাত দ্বারা আঘাত করে তার থেকে ইলিম শিক্ষা তো দূরে থাক তার পার্শে যেতেও হাদিসে নিশেধ করা হয়েছে, তাই এ বিষয় সতর্ক থাকতে হবে। চতুর্থ যে জগন্যতম একটি পাপের কথা নবীজি ইর্শাদ করেছেন সেটা”রিয়া” বা লোকদেখানো ইবাদত। মানুষ দেখে আমাকে পরহেজগার কামিলপীর, আল্লাহ ওয়ালা ওলি ইত্যাদি মনে করবে, এবং প্রশংসা করবে, মুরিদ ভক্ত বাড়বে, দাওয়াত হাদিয়া প্রচুর পাওয়া যাবে, এই জাতীয় নিয়তে যে কোন ইবাদত ছোট শিরক গুনাহ (নাউজুবিল্লাহ মিন যালিক) যে গুনাহের কোন ক্ষমা নেই।

রিয়া সম্পর্কে হাদিস শরীফে বর্নিত আছে হযরত উমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) থেকে হাদিস বর্ণিত তিনি একদিন মসজিদে নববীর দিকে বের হলেন । অতপর তিনি হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল (রাঃ) কে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র রওযা মুবারকের কাছে বসে কাঁদতে দেখলেন । হযরত উমর (রাঃ) বললেন হে মুয়ায আপনাকে কিসে কাদাচ্ছে? হযরত মুয়ায (রাঃ) বললেন; ইউকি সাইউন ছামিত মিন রাসুলিল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! ছামিতু রাসুলিল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইয়াক্কুলু ইন্না ইয়াছিরার রিয়াই শিরকুন ।অর্থ ; আমাকে একটা জিনিষ কাদাচ্ছে, যথা আমি রাসুলল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে সুনেছি যে নিশ্চয়ই সামান্য রিয়া ও শিরক । (সুনানু ইবনু মাযাহ হাদিস নং ৩৯৮৯,হাকিম তিরমিজি, মিসকাত পৃ:৪৫৫) । হযরত মাহমুদ ইবনু লুবীদ থেকে বর্নিত তিনি বলেন রাসলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইর্শাদ করেছেন ঃ- ইন্না আখওয়াফা মা আখাফু আলাইকুমু শিরকাল আছগারি, কালু ইয়া রাসুলাল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ওয়া মাশ শিরকুল আহগারু কালা আর্ রিয়াউ ।

অর্থ : আমি তোমাদের ব্যাপারে শিরূকে আগরের সর্বধিক আশংকা করি।

সাহাবীগন বললেন ইয়া রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

শিরকে আছগর কি? তিনি বললেন রিয়া বা লোক দেখানো ইবাদত বন্দেগী। (মুসনাদে আহমদ হাদিস নং ২৩১১৯. তাবরামী, জামিউল

আহাদীস্ বায়হাক্কী মুসনাদুস্ সাবাহ্ ) রিয়া, থেকে নিরাপদ সকল বন্দেগী আল্লাহর নিকট খুব পছন্দনীয় যদিও

আদৃনা বা একে বারে অল্প কিছু হয়। তাই আল্লাহর এক ওলি কবি বলেছেন :

এক জামানা ছুহবতে বা আউলিয়া,

বেহ্তর আজ ছদ ছালে তাআত্ বে রিয়া,,

অর্থাৎ:- রিয়া বিহীন এক শত বৎসর বন্দেগীর চেয়েও উত্তম একজন আল্লাহর ওলির সঙ্গে সামান্য সময় থাকা। ছুবহানাল্লাহ

হাদিস শরিফে বর্নিত আছে ঃ- আন আ, ইশাতা (রাঃ) কালাত কালা রাসুলুল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইউফদ্দিলু যিক রাল খাফিয়াল্লাজী লা তাছমা আহুল হাফাজাতা বি ছাবইনা দ্বিফান ।

অর্থ:- আম্মাজান হযরত আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেছেন :

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খফি যিকির কে (নীরবে অন্তরের যিকির ) যাহা কোন ফেরেস্তাগন ও শুনতে পান না । যিকরে জালি (মুখে উচ্চ স্বরে যিকির) এর উপরে সত্তর গুন শ্রেষ্ঠত্ব দিতেন।

(আবু ইয়ালা হাদিস নং ৪৭৩৮ আল মাত্বালিবুল আলিয়াহ্) অপর আরেক বর্ণনায় আছে উচ্চস্বরে যিকির বা জালি যিকির যাকে বলা

হয়। তার চাইতে খফি যিকির যাহা শুধু মাত্র ক্বালবে মনে মনে করা হয় সেই ক্বালবী যিকিরের ছোয়াব সত্তর গুন বেশী । কারন ঐ খানে রিয়া নামক জঘন্যতম শিরকের ভয় নাই।

রিয়া সম্পর্কে হাদিস শরীফে বর্নিত আছে হযরত উমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) থেকে হাদিস বর্ণিত তিনি একদিন মসজিদে নববীর দিকে বের হলেন । অতপর তিনি হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল (রাঃ) কে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র রওযা মুবারকের কাছে বসে কাঁদতে দেখলেন । হযরত উমর (রাঃ) বললেন হে মুয়ায আপনাকে কিসে কাদাচ্ছে? হযরত মুয়ায (রাঃ) বললেন; ইউকি সাইউন ছামিত মিন রাসুলিল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! ছামিতু রাসুলিল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইয়াক্কুলু ইন্না ইয়াছিরার রিয়াই শিরকুন ।অর্থ ; আমাকে একটা জিনিষ কাদাচ্ছে, যথা আমি রাসুলল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে সুনেছি যে নিশ্চয়ই সামান্য রিয়া ও শিরক । (সুনানু ইবনু মাযাহ হাদিস নং ৩৯৮৯,হাকিম তিরমিজি, মিসকাত পৃ:৪৫৫) । হযরত মাহমুদ ইবনু লুবীদ থেকে বর্নিত তিনি বলেন রাসলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইর্শাদ করেছেন ঃ- ইন্না আখওয়াফা মা আখাফু আলাইকুমু শিরকাল আছগারি, কালু ইয়া রাসুলাল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ওয়া মাশ শিরকুল আহগারু কালা আর্ রিয়াউ ।

অর্থ : আমি তোমাদের ব্যাপারে শিরূকে আগরের সর্বধিক আশংকা করি।

সাহাবীগন বললেন ইয়া রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

শিরকে আছগর কি? তিনি বললেন রিয়া বা লোক দেখানো ইবাদত বন্দেগী। (মুসনাদে আহমদ হাদিস নং ২৩১১৯. তাবরামী, জামিউল

আহাদীস্ বায়হাক্কী মুসনাদুস্ সাবাহ্ ) রিয়া, থেকে নিরাপদ সকল বন্দেগী আল্লাহর নিকট খুব পছন্দনীয় যদিও

আদৃনা বা একে বারে অল্প কিছু হয়। তাই আল্লাহর এক ওলি কবি বলেছেন :

এক জামানা ছুহবতে বা আউলিয়া,

বেহ্তর আজ ছদ ছালে তাআত্ বে রিয়া,,

অর্থাৎ:- রিয়া বিহীন এক শত বৎসর বন্দেগীর চেয়েও উত্তম একজন আল্লাহর ওলির সঙ্গে সামান্য সময় থাকা। ছুবহানাল্লাহ

হাদিস শরিফে বর্নিত আছে ঃ- আন আ, ইশাতা (রাঃ) কালাত কালা রাসুলুল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইউফদ্দিলু যিক রাল খাফিয়াল্লাজী লা তাছমা আহুল হাফাজাতা বি ছাবইনা দ্বিফান ।

অর্থ:- আম্মাজান হযরত আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেছেন :

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খফি যিকির কে (নীরবে অন্তরের যিকির ) যাহা কোন ফেরেস্তাগন ও শুনতে পান না । যিকরে জালি (মুখে উচ্চ স্বরে যিকির) এর উপরে সত্তর গুন শ্রেষ্ঠত্ব দিতেন।

(আবু ইয়ালা হাদিস নং ৪৭৩৮ আল মাত্বালিবুল আলিয়াহ্) অপর আরেক বর্ণনায় আছে উচ্চস্বরে যিকির বা জালি যিকির যাকে বলা

হয়। তার চাইতে খফি যিকির যাহা শুধু মাত্র ক্বালবে মনে মনে করা হয় সেই ক্বালবী যিকিরের ছোয়াব সত্তর গুন বেশী । (কারন ঐ খানে রিয়া নামক জঘন্যতম শিরকের ভয় নাই।

“রিয়া”কার, আলিম থেকে দুরে থাকতো হবে। সত্য কথা তিক্ত হলেও বলতে হয়, আজ কাল ডাক ঢুল বাজাইয়া নর্তন, কুর্দন, চিল্লা চিল্লী গাছে বাশে লাফালাফি, গাড়ীর বহর সাজাইয়া যিকিরের নামে ফ্যাসন বাজীর নিয়ত কি আল্লাহর জন্য? ২০/২৫ বৎসর বয়সী পাগড়ী দাড়ী ওয়ালা যুবকের মাজ কপালে এত বড় কাল দাগ কি করে হয় ?

তা চিন্তা করে কুল পাওয়া যায় না! সাধারণ মানুষ প্রশ্ন করলে জবাব ও পাওয়া যায় না ! কারন সাজদার আছর তো হল নামাজীর চেহারার রুশনী। পাক কালামে আল্লাহ্ পাক ইর্শাদ করেছেন ছী, মাহুম ফী উজুহি হিম মিন আছারিছ ছুজুদ।
অর্থ:- তাঁদের (নামাজীদের) চেহারার সিজদার আছর পরিলক্ষীত হইবে । তাফছীরের কিতাবে বর্ণিত হয়েছে ঐ আছর হল, নামাজী মুসলমানদের চেহারার উজ্জলতা । কাল দাগনয়। কাপালের মধ্যেখানে কয়লার মত কাল দাগ কোন নবী ও ওলির ছিল বলে কিতাবে বা ইতিহাসে পাওয়া যায় না। নফল বন্দেগী যিকির ফিকির নীরবে করাই ছাওয়াব বেশী এবং “রিয়া” হতে বেঁচে থাকা যায়। মুদ্দা কথা হল “রিয়া” কার আলিম থেকে দুরে থেকে ইখলাছ ওয়ালা নিখুত আলেম এর কাছে যেতে হবে । হাদিস শরিফে নিশিদ্ধ ৫ম দূষনীয় বস্তু হল লোভ। লোভী দুনীয়াদার আলিম থেকে দুরে থাকতে হবে, এবং তারিকুদ্ দুনিয়া আরিফে রব্বানী নায়বে নবী প্রকৃত হক্কানী আলিমের ছোহবতে যেতেহবে । এবং তার থেকে ইলমে দ্বীন কোরআন হাদিস শিখতে হবে হযরত আবু দরদা (রাঃ) থেকে হাদিস বর্ণিত আছে, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যারা দ্বীনী উদ্দেশ্য ব্যতিত ইলিম শিক্ষা করে আমল করার উদ্দেশ্য ব্যতিত ইলিম শিক্ষা করে আখেরাতের ইলিম দ্বারা দুনিয়ার ফায়দা হাছিল করে, মানুষকে দেখানুর জন্য ছাগলের চামড়া পরিধান করে (ছুফি বেশ ধারন করে মুটা কাপাড় পরে পীর বুজুর্গের বেশ ধরে) । তাদের ক্বালব (দিলবা অন্তর ) বাঘের মতই হিংশ্র ( নির্দয় পশুর মত রক্ত পিপাশু লোভী অন্তর) তাদের ভাষা মধুর চেয়েও মিষ্ট।

(মিষ্ট ভাষী কুকিল কণ্ঠী) তাদের কাল্ সমূহ ইলোয়ার নামক তিক্ত বৃক্ষের চাইতে তিক্ত । তারা আমার সাথে সাথেই প্রতারনা করে, এবং আমার সাথেই ঠাট্টা করে । আমি তাদেরকে এমন শাস্তি দিব যাহা কোন সহনশীলই সহ্য করতে পারবেনা। ( খতীবে বাগদাদী হাদিস নং ১০৬৩ এহ্ ইয়াউল উলুমুদ্দীন) উলামায়ে “ছু” ও উলামায়ে হক্ এর পার্থক্য করে উলামায়ে “ছু” নিকৃষ্ট আলেম যারা বদ আক্বিদা ও দুনীয়া লোভী ভন্ড পীর জাহিল মনুষ বেশদারী পেশাদার ফাসিক আলিম গুনাহে কবিরায় লিপ্ত আলিম, থেকে দুরে থাকা ঈমান রক্ষার জন্য সর্ব সাধারন মুমিন মুমিনাহ্ সকলের জন্য ফরজ বা অপরিহার্য্য। বিষেশ করে ইল্‌মে দ্বীনের তলবগার তালিবুল ইলিম যারা ইলিম তলব অস্থায় মরে গেলে শাহাদাতের দরজা লাভ করেন। যাদেরকে নূরের ফেরেস্তাগণ ডানা বিছিয়ে সম্মান দেন। যাঁরা গোরস্থানের ধারে দিয়ে হেটে চলে গেলে আযাবী মুর্দার আযাব চল্লিশ দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। (আল হাদিস) যারা বিশ্ব মুসলিম মিল্লাতের জন্য আগামী দিনের আশা আকাক্ষার দিশারী দ্বীনের মুজহিদীন, তাঁদেরকে আমি অধম সবিনয় আরজ করব আপনারা অবশ্যই উলামায়ে “ছু” নিকৃষ্ট আলেম থেকে দুরে

থাক্‌বেন । তাদেরকে শিরারুল খাল্ক বা সৃষ্টির সবচাইতে নিকৃষ্ট প্রানি হাদিসে বলা হয়েছে (মিশকাত বুখারী) আর উলামায়ে হক্, যারা তাদেরকে বলা হয়েছে “খিয়ারুল খালক”সৃষ্টির সব চাইতে উত্তম সৃষ্টি। এমনকি ফেরেস্তা থেকে ও উত্তম তাঁরা । পবিত্র কোরআন শরিফে আল্লাহ পাক তাদের তারিফ বা প্রশংসা করে বলেছেন:- “ইন্নামা ইয়াখ্শাল্লাহা মিন ইবাদিহিল উলামা ” অর্থ : আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে হতে আল্লাহকে সব চাইতে বেশি ভয় করেন উলামায়ে কিরামগন (আলকুরআন) যাদের চেহারা মুবারকের দিকে তাকালে ছোট ছগিরা গুনাহ ঝড়ে যায়। যাদেরকে দেখলে আল্লাহ পাকের কথা স্বরন হয়ে যায় তাঁরা কতবড় ভাগ্যবান নায়বে রাসুলগন। আমরা আশা করব আপনারা হবেন সেই মহান নায়বে নবী আলেম ও হাফিজ, ক্বারী, দ্বীন ইসলামের কান্ডারী! পথ ভ্রষ্ট আলেমরাই আজ বিশ্ব জুড়ে ইস্লামের অপব্যখ্যা করে ইসলামের নামে সন্ত্রাস, মানুষ খুন বোমাবাজি আত্বহত্যা যে সব কুকর্ম হালাল মনে করে করলে মুসলমান আর মুমিন থাকেনা বরং কাফের হয়ে যায়। নাউযুবিল্লাহ! ওসব কফুরী কে তারা জিহাদ নাম দিয়ে শান্তির ধর্মকে কলংকিত করতেছে, এবং বিশ্ব বাসী মুসলমান কে মহা বিপদে ফেলে দিয়েছে টুপি দাড়ী নবীজির কত প্রিয় সুন্নাত! কিন্তু হায় ইয়াহুদী নাছারা হিন্দু বৌদ্দ খৃষ্টান এমকি একদল মুসলমান নামধারী মুনাফেকরা ও টুপি পাগড়ী দাঁড়ী দেখলে, ঘৃনা ভরে তাকায় ? এপর্য্যায়ে আমাদেরকে কারো নিয়ে এল? এজন্য দ্বায়ী কারা? উত্তরে বলতেই হবে ঐ সৃষ্টির নিকৃষ্ট প্রাণী উলামায়ে “ছু” নামক নায়বে শয়তানের দল। পবিত্র কোরআন সুন্নাহ্ হক্কানী উলামায়ে কিরামের সুস্পষ্ট বর্ননা থাকা সত্তেও বিশ্ব জুড়ে দেখা যায় উলামায়ে “হু” বদ আকিদার, বাতিল ফেকার দৌরাত্ব ভয়াবহ বিশ্বের দ্বীতিয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ আমাদের প্রিয় মাতৃ ভূমি ৩৬০ ষাট আউলিয়ার পরশে ধন্য পূন্য ভূমি বাংলাদেশটাও ঐ নায়বে শয়তানদের জগন্যতম আস্তানায় পরিনত হয়ে গেছে। বদ আক্বিদায় বিশ্বাসী লা, মাজাহাবী ওয়াহাবী, তরিকা বিরোধী, ও কিছু সংখ্যক বেদাতী মুর্খ ভন্ড পীর যারা প্রকৃতই শিরক বেদতেলিপ্ত এবং কিছু সংখ্যক ক্ষমতা লোভী, অর্থলিপ্সু, মুনাফিক মার্কা বাতিল ফিরকার নাম ধারী আলেম রয়েছেন, যারা
মসজিদ মাদ্রাসা ওয়াজ মাফিল পত্ৰ পত্ৰীকা ও বিভিন্ন মিডিয়াতে ইলমে মা,রিফাত শিক্ষা তরিকত শিক্ষাকে শির্ক বিদাত ভ্রান্ত ফতোয়া বাজী ও ভ্রান্ত মন্তব্য করে সহজ সরল ধর্মপ্রাণ সুন্নী মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়োগ চালাচ্ছেন। এবং বাতিল আকিদা প্রচার করছেন। কিছু মুনাফিক মার্কা ভন্ড পীর, বংলাদেশে নীজেকে মুজাদ্দিদ মুজতাহিদ হিসাবে আতৃপ্রকশের ইবলিছী আকাংখায়, অসংখ্য জগৎ বরেণ্য ইমাম ও আউলিয়াদের বিরোধী ভ্রান্ত বাতিল আকিদ্বার বিরুদ্ধে নতুন নতুন ভ্রান্ত ফতোয়া বাজী করে, কোটি কোটি সাধারণ সুন্নী মুলমানকে বিভ্রান্ত এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ঈমাণী ঐক্য ধ্বংস করে দ্বীন ঈমানের সমূহ ক্ষতি করতেছেন। ওরা অবশ্যই পথ-ভ্রষ্ট উলামায়ে “ছু” বা নিকৃষ্ট আলেম হিসেব গণ্য। তাদের করুণ পরিণতি সম্পর্কে হাদিস শরীফের অসংখ্য বর্ণনা হতে দু এক খানা হাদিস পেশকরা হল। “আন উমরা (রা:) কাল ইন্না আওয়াফা মা আখাফা হাজিহিল উম্মাতিল মুনাফিকআলীমা, ক্বালু কায়ফা ইয়াকুনু মুনাফিকান্ আলিমান, কালা আলীমুল্ লিছান্‌ জাহিদুল ক্বাল্‌বি ওয়াল আমালি । হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেছেন, উম্মেতের

মধ্যে মুনাফিক আলীমের আমি সর্বাধিক ভয় করছি। জিজ্ঞাসা করা হল মুনাফিক আলীম হয় কি ভাবে? উত্তরে তিনি বলেন মুখের আলীম অর্থাৎ সেই আলীম যার ইলিম

আতৃসম্মান লাভের জন্য ও লোক দেখানুর উদ্দেশ্যে শুধু মুখে মুখেই প্রকাশ পায়। ক্বালব কিন্তু শুদ্ধ নয়, যার কালব বা অন্তর ইল্‌মে মারিফাত এবং আমল থেকে শুণ্য সেই মুনাফিক আলীম।” (কানযুল উম্মাল হাদিস নং ২৯৪৮০ ইয়াহ্ ইয়াউল উলসুদ্দীন) হযরত আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেছেন “ যে ব্যক্তির ইলিম বৃদ্ধি পায়, কিন্তু দুনিয়া বর্জণ বৃদ্ধি পায় না, সে ব্যক্তির জন্য আল্লাহ্ থেকে শুধু দুরত্বই বৃদ্ধি পায় (দায়লামী শরিফ হাদীস নং ৫৮৮৭ কানযুল উম্মাল)।
হযরত জুনদুব (রা:) হতে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন : মাছালুল্লাজিনা ইয়ালামুন্নাছাল খাইরা ওয়া ইয়ান্‌ছো ইউহাররিকু

নাফ্‌ছাহু।”

অর্থ : যে আলীম মানুষকে ভাল কাজ শিখায় কল্যাণ শিখায়, কিন্তু নিজে আমল করেনা, আত্বভোলা হয়ে থাকে আমল করেনা। তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে ঐ বাতির ন্যায় যা লোকদেরকে আলোকিত করে, কিন্তু নীজেকে জ্বালিয়ে দেয় । (তাবরাণী ফিল কবির হাদিস নং ১৬৮১ )

অপর আরেক হাদিস শরিফে হযরত আবু হুরায়রায় (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ

করেছেন :

আশাদ্দুন্নানাছি আযাবান ইয়াওমাল কিয়ামাতি লাম্‌ইয়ান্‌ফাআহু

ইলমুহু।”

অথ: হাশরের দিন সব চেয়ে কঠিন আযাব হবে আলিমের, যার ইলিম তার নীজের উপকার করেনি ( অর্থাৎ: তার ইলিম অনুযায়ী সে আমল করেনি )

(তাবরানী হাদিস নং ৫৭)

ছাইয়্যিদুনা আব্দুল্লাহ ইবনে আমর থেকে বর্ণিথ আছে তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি “ইয়া কুলু ইন্নাল্লাহা লা ইয়াকাবিঘ্নল ইল্‌মা ইন্তিজা আন্ ইয়াতা জিউহু মিনাল ইবাদি ওয়ালাকিন্ ইয়াকুবিদুল ইল্‌মা বিকাবদিল্ উলামাই। হাত্ত্বা ইজা লাম ইয়াক্কি আলিমান্ ইত্ত্বা খাজানাছু রুউছান্ জুহ্‌হালান্ ফাছুইলু ফাতু বিগাইরি ইমিন ফাদ্বাদু ওয়া আদ্বাল্গু। অর্থ : নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়াল বান্দাদের থেকে হঠাৎ করে ইলিম উঠিয়ে নিবেন না বরং তিনি আলিমদেরকে উঠিয়ে নেয়ার মাধ্যমে ইল্‌মকে উঠিয়ে নিবেন। এমনকি যখন কোন আলিমকে অবশিষ্ট রাখবেন না,

(অর্থাৎ বিজ্ঞ হক্কানী আলেম সমাজে থাক্‌বেনা) তখন লোকেরা মূর্খদেরকে পীর মুর্শিদ হিসাবে গ্রহণ করবে। অতঃপর ঐ মূর্খনেতা অজ্ঞপীর, ও ভণ্ড আলিম্া নীজে না জেনেই ভূল সমাধান দিয়ে দিবে। ফলে তারা নীজেরা পথভ্রষ্ট হবে, এবং তাদের অন্ধ ভক্ত অনসারীদেরকেও পথভ্রষ্ট করে ফেলবে। (বুখারী শরিফ)

বর্তমানে বাংলাদেশে পীরের ছেলে মূর্খ জাহিল হলেও কোন সমস্যা নেই তিনি গদিনিশীন পীর? এজেন জমিদারীর উত্তরাধিকারী জমিদারের ছেলে। জমিদার তো হবেই, মূর্খ সান্ডা গুন্ডা হলে ও কোন আপত্তি নেই। আবার পীর, মুরিদের সম্পর্ক হলো বাবা ও সন্তানের মত? মুরিদের যুবতী মেয়েরা হলো, পীর সাহেবের নাতনী, ওরা পীর বাবাজানের খেদমত, যত প্রকারই আছে তা, ই করতে পারে? এতে কোন আপত্ত্বি নাই।(নাউজুবিল্লাহ্ মিন্ জালিক) ওসব ভন্ডামি হারম কার্যকলাপ আহরণ চলছে। হযরত ইবনু আব্বাস (রা:) হতে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন” এই উম্মতের আলেমগন দুই শ্রেণীর। এক শ্রেণীর আলেম হচ্ছেন তিনি, যাকে আল্লাহ তায়ালা ইল্‌ম দান করেছেন, তিনি উহা লোকদের কাছে বিতরণ করেন, তিনি এর জন্য কোন বিনিময় মূল্য বা পার্থিব কেন দাবী মিটান না। এই জাতীয় আলিমের জন্য সমুদ্রের মৎসকুল, পৃথিবীর স্থল ভাগের যাবতীয় চতুস্পদ জন্তু জানোয়ার গুলো শুন্যের মাঝে ( অর্থাৎ আকাশে ) উরন্ত পাখীরা ও ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকে। এই জাতীয় আলিম যিনি তিনি কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে নেতা ও বুজুর্গ ব্যক্তি হিসাবে আগমন করবেন, এবং তিনি রাসুলগণের সঙ্গী হয়ে যাবেন। (সুবাহানাল্লাহ্!) আরেক শ্রেনীর আলিম হচ্ছে সেই ব্যক্তি, যাকে আল্লাহ তায়ালা ইল্‌ম দান করেছেন, সে উহা নিয়ে বান্দাদের নিকট কার্পন্য করেছে ( বিনিময়ে ও চড়া মূল্য ছাড়া শিখায়নি, ওয়াজ নছিহত টাকা পয়সার বিনিময়ে, চুক্তি করে করেছে, নীজে উহা গোপন করেছে, এবং ইল্‌মের বিনিময়ে পার্থিব মূল্য গ্রহণ করেছে। সেই ব্যক্তিকেই কিয়ামতের দিন জাহান্নামের লাগাম পরিয়ে দেয়া হবে। এজন্য একজন ঘোষক ঘোণনা দিবেন :“এ হচ্ছে এমন ব্যক্তি যাকে আল্লাহ তায়ালা ইল্‌ম দান করেছেন। ফলে সে এই ইলম নিয়ে আল্লাহর বান্দাদের থেকে কার্পন্য করেছে (বিনিময় ছাড়া শিখায়নি) নীজে আকাংখার বস্তু গ্রহণ করেছে, এবং ইলিমের বিনিময়ে দুনিয়ার পার্থিব মূল্য ( চুক্তি করে গ্রহন করেছে)। হাশরের সকল মানুষের হিসাব শেষ করা পর্যন্ত এভাবেই ঘোষণা দিতে থাকবেন। (তাবরানী ফিল আত্তসাত হাদিস নং ৭১৮৭

দয়ালমী শরিফ জামিউল হাদীস ও কানযুলউম্মাল)

হযরত আবু হুরায়রা (রা:) থেকে হাদিস বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন: অর্থ: যে ব্যক্তি আলিম গণের সাথে প্রতিযোগিতা করার জন্য, এবং

নিবোর্ধদের সাথে তর্ক করার জন্য, ও মানুষের দৃষ্টি তার েিক আকর্ষণ করার জন্য, দ্বীনি ইলূম শিক্ষা করে, আল্লাহ তায়লা তাকে জাহান্নামে প্রবে শ করাবেন। (ইবনু মাজাহ শরিফ হাদিস নং ২৬০ হাকীম বায়হাকী।) প্রিয় পাক-কুরাআনের তালেবুল ইল্‌মগণ! বিশুদ্ধ আক্বিদায় বিশ্বাসী আহলে সুন্নাতে বিশ্বাসী, ছহি আমলদার, হাক্কানী নায়বে রাসূল গণের হুহূবত ব্যতিত পাক কালামের নূরানী ইল্ল্ম অর্জন হয় না। সেজন্যই জগৎ বরেন্য ইমাম মুস্তাহিদ গণ, ও আউলিয়া কিরামগণ তাঁদের উস্তাদদের দরবারে যুগ যুগ ধরে, বছরের পর বছর, জীবনের মূল্যবান সময় ব্যয় করে দিয়ে সেই ইলূমে কিরাত, ইলূমে শরিয়ত ও তরিকতের ইজাজত লাভ করেছেন। নবীগণকে চল্লিশ বৎসর বয়স না হওয়া পর্যন্ত স্বয়ং আল্লাহ দ্বীন প্রচারের অনুমতি দেননি। বর্তমানে ভূয়া সনদদারী ক্বারী, ভূয়া ভন্ড ছাবাল পীরে বাংলাদেশ ছয়লাব!

ইলমে দ্বীন (শরিয়ত, তরিকৃত, হাকিকত মা’রিফাত) অর্জনে আপন পীর উস্তাদৃগণের ছুতে দীর্ঘদিন সাধনা করেছেন, বিশ্ব বরেণ্য ইমাম মুজতাহিদ, জগৎ বরেন্য আউলিয়া কয়জনের নাম ও তাঁদের পীর,

উস্তাগণের নাম ও তাঁদের সাধনার বৎসর নিম্নে পেশ করা হলো। (দ্বীন ইলূমের খিলাফত আর সনদ এত সস্তা নয়) (১) বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত হাসান বছরী (রা:) তাঁর উস্থাদ ও মুর্শিদ সাইয়্যূদুনা হযরত আলী (রা:) এর নিকট একাধারে সাত বৎসর সাধনা করেছেন।

(২) ইমামে আজম হযরত আবু হানিফা (র:) তাঁর পীর ও উস্তাদ সাইয়্যিদুনা ইমাম যাফর সাদিক (র:) এর নিকট পূর্ণ দুই বৎসর সাধনা করে বলেছেন: লাওলাছ ছানা তানে লাহালাক্বান নুমান।” অর্থ: যদি দুটি বছর আমার ইমাম যাফর সাদিকের সঙ্গ লাভ না হত, তা হলে নোমান ধ্বংস হয়ে যেত। (অর্থাৎ আমি আবু হানিফা ধ্বংস হয়ে যেতাম)

(৩) হযরত ইমাম শাফেয়ী (র:) দীর্ঘদিন তাঁর পীর ও উস্থাদ আল্লামা ওয়াকী (র:) এর খেদমতে কাটিয়ে ছিলেন।

(৪) ইমাম আহমাদ ইব্‌ হাম্বল (র:) তাঁর পীর ও উস্তাদ হযরত বিশর

হাফী (র:) এর খেদমতে সুদীর্ঘ ১৮ বৎসর সাধানায় ছিলেন। (৫) খাজায়ে খাজেগান হযরত সুলতানুলহিন্দু খাজা গরীবে নেওয়াজ আজমিরী ছানজরী (রা:) এর পীর মুর্শিদ, হযরত খাজা উসমান হারুনী

(রা:) এর খেদমতে দীর্ঘ ২০ বৎসর সাধনায় ছিলেন।

(৬) গাউছুল আযম হযরত বড়পীর আঃ কাদের জিলানী (রা:) তাঁর পীর মুর্শিদ হযরত আল্লামা আবু সাঈদ আল মাখজুমী (রা:) এর খেদমতে দীর্ঘ ১৮ বৎসর কাটিয়ে দেন সাধনায়।

(৮) সুফী সম্রাট আল্লামা জালালাদ্দীন রুমী (রা:) তাঁর উস্তাদ আল্লামা শাম্‌ছ তাবরেজীর (র:) এর দরাবারে ৩০ বছর অতিবাহিত করেছিলেন

সাধনায়।

(৯) মুজাদ্দিদে আল্‌ফে ছানী (র:) তাঁর পীর উস্তাদ খাজা বাকী বিল্লাহ্

(র:) এর নিকটে ৩ বছর সাধনা করেন।

(১০) হযরত খাজা বাহউদ্দিন নক্শবন্দী (র:) তার পীর ও উস্তাদ আল্লামা খাজা আমীর কুলাল (র:) এর নিকট সাধনায় একাদারে ৬ বছর কাটান।

(১১) রইছুল মুফাচ্ছিরীন আল্লামা ইমাম ফখ্রুদ্দীন রাজী (র:) তাঁর পীর উস্তাদ আল্লামা ইমাম নাজমুদ্দীন কুরার (র:) এর নিকটে দু বছর কাটান এবং বলেছেন যা, শিখেছি সবই আমার উস্তাদের নিকট লাভ করেছি।

দ্বীন ও ঈমানের তলবগার কুরআন শিক্ষার্থীগন! আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেছেন। ওয়াল্লাজীনা যাহাদু ফীনা লানাহ্ দিয়ানাহুম ছুবুলানা”। অর্থ- যাঁরা আমাকে লাভ করার জন্য জ্ঞান সাধনা করে আমি তাঁদেরকে আমার পথ দেখিয়ে দেই।

উপরের লিখাটি “ছহি করে কোরআন শিখার আহ্বান ও পবিত্র কোরআন সুন্নাহর সতর্ক বাণী” বইয়ের অংশবিশেষ। সম্পুর্ন বইটি পড়তে পিডিএফ ডাউনলোড করুন নিচে দেয়া ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে:

ছহি-করে-কোরআন-শিখার-আহ্বান-ও-পবিত্র-কোরআন-সুন্নাহর-সতর্ক-বাণী। Download

The post ছহি করে কোরআন শিখার আহ্বান ও পবিত্র কোরআন সুন্নাহর সতর্ক বাণী। appeared first on Amar Madrasah - আমার মাদরাসা.

]]>
https://amarmadrasah.com/quran-shikkhar-ahoban/feed/ 0 4513